১৯৮০ সালে রেখা আর অমিতাভ-রেখার প্রেম তুঙ্গে। সেই সময়ই শ্যুটিং হয়েছিল লাওয়ারিস। কিন্তু এই সময়ই অমিতাভ জড়িয়ে পড়েছিলেন এক ইরানি ডান্সারের সঙ্গে। অমিতাভ আর সেই ইরানি ডান্সারের প্রেমের একাধিক কথা হট টপিক ছিল পেজ থ্রিতে।
অমিতাভ বচ্চন আর রেখার রোম্যান্স- এখনও সিনেমা প্রেমীদের কাছে একটি হট গসিপ। অমিতাভ বচ্চন ও রেখা কোনও দিনও নিজেদের প্রেম নিয়ে তেমনভাবে মুখ খোলেননি। কিন্তু বলিউড গসিপে এখনও সেই প্রেম কাহিনি একটি বড় জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন অমিতাভ বচ্চন রেখাকে চড় মেরেছিলেন- তাও একবার নয় একাধিকবার।
লেহরেন রেট্রোর ইউটিউব চ্যালেনে ভিডিওটে এই কথা বলা হয়েছে। এই ইউটিউব চ্যালেনে রেখার বায়োগ্রাফি 'রেখা-দ্যা আনটোল্ড স্টোরি'-র একটি অংশ তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে ১৯৮০ সালে রেখা আর অমিতাভ-রেখার প্রেম তুঙ্গে। সেই সময়ই শ্যুটিং হয়েছিল লাওয়ারিস। কিন্তু এই সময়ই অমিতাভ জড়িয়ে পড়েছিলেন এক ইরানি ডান্সারের সঙ্গে। অমিতাভ আর সেই ইরানি ডান্সারের প্রেমের একাধিক কথা হট টপিক ছিল পেজ থ্রিতে। যা উত্তাল করেছিল আরব সাগরের নীল জলকে। তবে এই প্রেম নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ ছিলেন রেখা। জয়া অবশ্য কোনও দিনই এই বিষয়ে মুখ খুলেননি। তিনি মুখ খুলেননি রেখা-অমিতাভ সম্পর্ক নিয়েও।
রেখা বলে কথা। তিনি জয়া বচ্চনের মত হাতে হাত গুটিয়ে রাখার পাত্রী নন। অমিতাভ আর ইরানি ডান্সারের প্রেম নিয়ে তিনি এতটাই ক্ষুব্ধ ছিলেন যে সোজা চলে গিয়েছিলেন লাওয়ারিসের সেটে। সেখানেই ইরানি নৃত্যশিল্পীতে নিয়ে অমিতাভকে জেরা করতে শুরু করেন। যা নিয়ে শ্যুটিং সেটেই দুই স্টার তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন। কথা কাটাকাটি এতদূর গিয়েছিল যে অমিতাভ বচ্চন রেখাকে মারধরও করেছিলেন সেটে। অনেকেই বলে গুণে গুণে প্রায় সাত টা চড় মেরেছিলেন রেখাকে। যদিও এই কথা রেখা বা অমিতাভ কেউ কোনও দিনও স্বীকার করেননি।
এখানেই শেষ নয়। এরপর রেখা যশ চোপড়ার সিলসিলা ছবিকে কাজ করতে অস্বীকার করেন। কিন্তু যশও হাল ছাড়ার পাত্র নন। তিনি রেখাকে রাজি করান। পাশাপাশি জয়া বচ্চকেও এই ছবিতে কাস্ট করেন। লাওয়ারিস ও সিলসিলা দুটি ছবি ১৯৮১ সালে মুক্তি পেয়েছিল। দুটি ছবি জনপ্রিয় হয়েছিল। কিন্তু ইরানি ডান্সারের কী হল তা অবশ্য আর জানা যায়নি।