সিধু মুসেওয়ালা মৃত্যুর রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি গোটা দেশ, এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মুম্বইতে গিয়ে রেইকি পর্যন্তও করে এসেছিল লরেন্স বিষ্ণোই, এমন কথা জানিয়েছে পঞ্জাব পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক।
পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে যেভাবে খুন করা হয়েছিল সেই একই ভাবে সলমনকে খুন করারও প্ল্যান কষে ফেলেছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল। সঙ্গীত শিল্পী তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালাকে খুনের দায়ও স্বীকার করে নিয়েছেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল। হরিয়ানা স্পোশ্যাল টাস্ক ফোর্সের কাছ থেকে লরেন্সের বিষয়টি ফাঁস হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। সিধু মুসেওয়ালা খুনের পর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে সলমন খানের। সিধু মুসেওয়ালা মৃত্যুর রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি গোটা দেশ, এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মুম্বইতে গিয়ে রেইকি পর্যন্তও করে এসেছিল লরেন্স বিষ্ণোই, এমন কথা জানিয়েছে পঞ্জাব পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক।
গত শনিবার নেপাল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সিধু মুসেওয়ালা খুনের অন্যতম অভিযুক্ত দীপক মুন্ডি ও তার দুই সাগরেদ কপিল পন্ডিত ও রাজিন্দর। নেপাল বর্ডার থেকেই গ্রেফতার হন তিন যুবক। এরপরই অভিযুক্তদের পঞ্জাব পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। আদালত সাতদিনের পুলিশ কাস্টডি মঞ্জুর করেছে। পুলিশ জানিয়েছে সলমনকে হত্যার ছক কষতে মুম্বইতে হাজির হয়েছিল কপিল পন্ডিত। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নির্দেশেই পুরোটা হয়েছে। যে কোনও সময়েই খুন হয়ে যেত পারেন সলমন খান। দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনা করে খুন করার চেষ্টা চলছে বলিউডের ভাইজানকে। সলমনের বান্দ্রার বাড়ির ওপরও চলছিল নিয়মিত নজরদারি। এমনকী রেইকি পর্যন্তও করা হয়েছিল সলমনের বাড়িতে। কোথায়, কখন যাচ্ছেন, কে কখন আসছে ভাইজানের বাড়িতে সবকিছুর উপরই চলছে কড়া নজরদারি। রাতারাতি নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ভাইজানকে।
প্রতিনিয়ত খুনের হুমকি পাওয়ার পর থেকেই অনেক কিছুরই ভোলবদল করে নিয়েছেন সলমন খান। যেমন নিজের টয়োটা ল্যান্ড ক্রজার গাড়িটির ভোলবদল করিয়েছেন সলমন খান। বাইরে থেকে দেখা না গেলেও গাড়িতে নতুন বুলেটপ্রুফ কাঁচ লাগান সলমন খান। ভাইজানের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেছে, খুনের হুমকি পেতেই এবার নড়েচড়ে বসেছেন সলমন খান। ২০১৮ সালে ভাইজানকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন সিধু মুসেওয়ালা খুনের অভিযুক্ত গ্যাংস্টার লরেন্স। সিধুর মৃত্যুর পর থেকে তাই আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না মুম্বই পুলিশ। এই কারণেই রাতারাতি সলমনের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একের এক তারকারা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। জুন মাসেও হুমকি চিঠি পান সলমন। মর্নিং ওয়াক করার সময় সলমন ও তার বাবাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। বি-টাউনের মোস্ট পপুলার চিরকুমার সলমনকে নিয়ে চর্চা সবসময়েই চলে আসছে। এই প্রথমবার নয়, দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনা করে খুন করার চেষ্টা চলছে বলিউডের ভাইজানকে। সলমনের বান্দ্রার বাড়ির ওপরও চলছিল নিয়মিত নজরদারি। এমনকী রেইকি পর্যন্তও করা হয়েছিল সলমনের বাড়িতে। সলমনের গতিবিধির উপর জোরকদমে নজরদারি শুরু হয়েছিল।