প্রতিনিয়ত খুনের হুমকি পাওয়ার পর থেকেই অনেক কিছুরই ভোলবদল করে নিয়েছেন সলমন খান। যেমন নিজের টয়োটা ল্যান্ড ক্রজার গাড়িটির ভোলবদল করিয়েছেন সলমন খান। বাইরে থেকে দেখা না গেলেও গাড়িতে নতুন বুলেটপ্রুফ কাঁচ লাগান সলমন খান। ভাইজানের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেছে, খুনের হুমকি পেতেই এবার নড়েচড়ে বসেছেন সলমন খান। কিন্তু টয়োটা ল্যান্ড ক্রজার গাড়িটি পুরোনো মডেলের হলেও তাতে যে বুলেটপ্রুফ কাঁচ লাগিয়েছেন তার দাম শুনলে আঁতকে যাবেন। নতুন এই কাঁচ বসাতে সলমনের খরচ হয়েছে ১.৫ কোটি টাকা।
সলমন খান, বলিউডের ভাইজানকে নিয়ে চর্চা হয়নি এমনটা হয়তো কখনও হয়নি। সর্বদাই খবরের শিরোনামে থাকেন সলমন খান। তবে ভাইজানকে নিয়ে এখন প্রতিটা মুহূর্তে চিন্তায় রয়েছেন ভক্তরা। কারণটা সকলেরই জানা। যে কোনও সময়েই খুন হয়ে যেত পারেন সলমন খান। দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনা করে খুন করার চেষ্টা চলছে বলিউডের ভাইজানকে। সপ্তাখানেক আগেই বন্দুকের জন্য লাইসেন্সের আবেদন করেছিল সলমন খান। শেষমেষ নিরাপত্তার খাতিরে লাইসেন্স এল ভাইজানের হাতে। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পরই তা তুলে দেওয়া হয়েছে ভাইজানের কাছে। প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার পরই ভাইজানকে নিয়ে চিন্তা বাড়ছিল। এবার বন্দুক নিয়েই ঘুরবেন সলমন খান।
সূত্রের খবর প্রতিনিয়ত খুনের হুমকি পাওয়ার পর থেকেই অনেক কিছুরই ভোলবদল করে নিয়েছেন সলমন খান। যেমন নিজের টয়োটা ল্যান্ড ক্রজার গাড়িটির ভোলবদল করিয়েছেন সলমন খান। বাইরে থেকে দেখা না গেলেও গাড়িতে নতুন বুলেটপ্রুফ কাঁচ লাগান সলমন খান। ভাইজানের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেছে, খুনের হুমকি পেতেই এবার নড়েচড়ে বসেছেন সলমন খান। কিন্তু টয়োটা ল্যান্ড ক্রজার গাড়িটি পুরোনো মডেলের হলেও তাতে যে বুলেটপ্রুফ কাঁচ লাগিয়েছেন তার দাম শুনলে আঁতকে যাবেন। নতুন এই কাঁচ বসাতে সলমনের খরচ হয়েছে ১.৫ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ভাইজানকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন সিধু মুসেওয়ালা খুনের অভিযুক্ত গ্যাংস্টার লরেন্স। সিধুর মৃত্যুর পর থেকে তাই আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না মুম্বই পুলিশ। এই কারণেই রাতারাতি সলমনের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সলমনের বান্দ্রার বাড়ির ওপরও চলছিল নিয়মিত নজরদারি। এমনকী রেইকি পর্যন্তও করা হয়েছিল সলমনের বাড়িতে। কোথায়, কখন যাচ্ছেন, কে কখন আসছে ভাইজানের বাড়িতে সবকিছুর উপরই চলছে কড়া নজরদারি। রাতারাতি নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ভাইজানকে। কিছুদিন আগেই পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুন হয়। সঙ্গীত শিল্পী তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালাকে খুনের দায়ও স্বীকার করে নিয়েছেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল। হরিয়ানা স্পোশ্যাল টাস্ক ফোর্সের কাছ থেকে লরেন্সের বিষয়টি ফাঁস হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। দীর্ঘ জল্পনার পর পুলিশের জালে ধরাও পড়েছিলেন কুখ্যাত দুস্কৃতী রাহুল । ভিওয়ানির বাসিন্দা রাহুল গ্যাংস্টার লরেন্সের হয়ে কাজ করতেন। গুলি চালানোতে তিনি পারদর্শী। আর সেখানে থেকেই অন্ধকার জগতে তার আনাগোনা। সূত্র থেকে জানা গেছিল, সেইসময় গ্যাংস্টার লরেন্স আপাতত যোধপুর জেলে ছিলেন। আর জেলে বসেই বলিউডের ভাইজানকে খুন করার প্ল্যান কষে ফেলেছিছেন। এবং তার এই কাজের মূল মাথাই ছিল শ্যুটার রাহুল। লরেন্সের সঙ্গে দীর্ঘদিনের শত্রুতা রয়েছে সলমনের। কৃষ্ণসার হরিণ শিকার অপরাধের যে অভিযোগ রয়েছে সলমনের উপর সেই তখন থেকেই নাকি লরেন্সের নজরে রয়েছেন ভাইজান। দীর্ঘদিন ধরেই সল্লু ভাইকে টার্গেট করেছেন এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার। জেলে বসেই নিজের দল নিয়ে সলমনকে মারার ছক কষেছিলেন লরেন্স। সলমনকে যোধপুরেই মারার প্ল্যান ছিল লরেন্সের। যোধপুরের যে সম্প্রদায়ের কাছে কৃষ্ণসার হরিণ পূজনীয় সেই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ছিলেন লরেন্স। এই লরেন্সের কারণেই এবার নিরাপত্তা বাড়ানো হল ভাইজানের। সিধু মুসেওয়ালা খুনের পর নিরাপত্তা বাড়ানো হল সলমন খানের। জুন মাসেও হুমকি চিঠি পান সলমন। মর্নিং ওয়াক করার সময় সলমন ও তার বাবাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। বি-টাউনের মোস্ট পপুলার চিরকুমার সলমনকে নিয়ে চর্চা সবসময়েই চলে আসছে।