পরম বন্ধু ঋষির মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন শক্তি কাপুর ও তাঁর স্ত্রী। ঋষি কাপুরের মৃত্যুর খবর আসতেই তাঁর স্ত্রী ছুঁটে আসেন বলে জানিয়েছেন শক্তি কাপুর। যখন তাঁরা জানতে পারেন পরমবন্ধুর শেষকৃত্যে হাজির হতে পারবেন না, তখন দুজনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন, পর্দায় ঋষি কাপুর নায়ক এবং শক্তি কাপুর ভিলেন হলেও বাস্তব জীবনে একে অপরের সুহৃদয়ের বন্ধু ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ শেষ বিদায়ে থাকতে পারলেন না, সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন আমির, সলমন অক্ষয়ের
শক্তি কাপুর জানিয়েছেন. এমন একজন বন্ধুকে শেষ দেখাও দেখতে পারবেন না, ভেবে ভেঙে পড়েছিলেন, শেষ মুহূর্তে বন্ধুর ঋষির চেহারা কেমন হয়েছিল তা দেখার জন্য আকুল হয়ে উঠেছিল তাঁর মন। পরবর্তীতে সংবাদ মাধ্যমের পর্দায় চুল্লির সামনে শায়িত ঋষির ছবি দেখে নিজেকে পরম সৌভাগ্যবান বলে মনে করেন শক্তি কাপুর। তিনি আরও জানিয়েছেন, লকডাউনের সময়ও গত ২০ দিন ধরে দুই বন্ধুর কথা হয়েছে হোয়াটস অ্যাপে। দিনভর তাঁরা একে অপরকে মেসেজ চালাচালি করেছেন, এমন কী ঋষি কাপুর যখন নিউইয়র্কে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন সেই সময়ও এসএমএস-এ দুজনের কথা হত।
শক্তি কাপুর একদিন আচমকাই ফোন করে দিয়েছিলেন ঋষির নম্বরে। ঋষি সেই ফোন তুলে জানিয়েছিলেন ছয় মাস ধরে হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসায় তিনি ক্লান্ত। তিনি মুম্বই ফিরতে চান এবং শক্তি ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দিতে চান। শক্তি কাপুর যে যাত্রায় ঋযিকে শান্ত করেছিলেন। চিকিৎসার পর মুম্বইয়ে ফিরতেই ঋষি ছুঁটে গিয়েছিলেন শক্তি কাপুরের বাড়িতে। দুই বন্ধু একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছিল। এমন কী শক্তি কাপুরের দুই ছেলে মেয়েকেও ধরে কেঁদেছিলেন ঋষি। চোখের জল মুছে বলেছিলেন, অনেক হয়েছে রোগ নিয়ে কথা, আমরা এখন দিন কয়েক শুধু পার্টি করব।
শক্তি কাপুর জানিয়েছেন, এরপর দিল্লিতে জুহির সঙ্গে একটা ছবির শ্যুটিং করতে গিয়ে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শক্তি কাপুর ফোন করে বলেন অবিলম্বে এই ছবির কাজ ছেড়ে দিতে, নয় তো মুম্বইয়ে শ্যুটিং করতে, কারণ শক্তি কাপুরের ধারনা ছিল এই ছবির শ্যুটিং-এই ক্যান্সলার ধরা পরেছিল এবং ঋষিকে চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় চলে যেতে হয়ে হয়েছিল। নতুন করে ঋষি কাপুর অসুস্থ হওয়ায় তাঁর মনে কু-ডেকেছিল বলে জানিয়ে ছিলেন শক্তি। করোনায় এমন এক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে যে বুকে জড়িয়ে ধরেও শেষ বিদায় জানাতে পারলেন না শক্তি কাপুর। এই আফসোস সারা জীবন থেকে যাবে বলেন জানান তিনি।