বিগবসের ইতিহাসে এই প্রথম। বিগবস১৩ এমন একটি পর্ব যা দর্শদের পছন্দের কারণে ৩মাস এক্সটেন্ড করা হয়েছে। আর শেষ অবধি দর্শকদের পছন্দের কারণেই 'দিল সে দিল তক' জনপ্রিয় ধারাবাহিকের শীর্ষ চরিত্র সিদ্ধার্থ শুল্কা বিগবস১৩ সিজনে জয়ী হয়েছেন। আর পুরষ্কার মূল্য হিসেবে তিনি জিতে নিয়েছেন ৪০ লক্ষ টাকা। বিগবস১৩ পর্বের ফাস্ট রানার আপ হয়েছেন সুপার মডেল আসিম রেয়াজ ও সেকেন্ড রানারআপ হয়েছেন এবারের বিগবস হাউসের এন্টারটেইনার শহেনাজ গিল।
আরও পড়ুন- প্রতিদ্বন্দ্বী-কে ১০ লক্ষ টাকা, বাকিদের কচু কাটা করে বিগ বস ১৩-তে জয়ী সিদ্ধার্থ শুক্লা
বিগবস১৩ পর্বের প্রথম থেকে নিজের ব্যক্তিত্ব ও আকর্ষনীয় সুপুরুষ চেহারার জন্য তিনি দর্শকের নজর কেড়ে নেন। বিগবসের ঘরে প্রথম দিকে ঘরের আরও একজন প্রতিযোগী পারস-এর সঙ্গে বহুবার ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় সিদ্ধার্ত-কে। সেই সময় আসিম ছিল তাঁর সবচেয়ে কাছের একজন। কিছু দিন যাওয়ার পরেই ঘরের নিয়ম অনুযায়ী সম্পর্কের সমীকরণ বদলাতে শুরু করে বিগবসের ঘরে। সিদ্ধার্থ আর পারস হয়ে যায় একদলে আর আসিম হয়ে দাঁড়ায় সিদ্ধার্থের বিপরীত দল। ঘরে হওয়া ঝামেলার কারণে বার বার নমিনেশনে আসেন সিদ্ধার্থ। তবে প্রতিবারই দর্শকের থেকে পাওয়া ভোটিং-এর কারণে বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে সেফ জোনেও পৌঁছে যেতেন।
বিগবসের ঘরে রেশমি দেশাইয়ের সঙ্গে সিদ্ধার্থের সম্পর্ক ছিল শো-এর অন্যতম একটি টিআরপি-এর পয়েন্ট। অভিনেতারা তাদের টেলিভিশন শো 'দিল সে দিল তাক'-এর শুটিং চলাকালীন যে খুব একটা ভাল সম্পর্কের মধ্য ছিলেন না তা এই ঘরে থাকাকালীন পরিষ্কার হয়ে যায়। তবুও তাঁদের বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক দর্শকের কাছে খুব আকর্ষণীয় একটি টপিক। বিগবস সিজন ১৩-এর খেতাব জয়ের পর দর্শকদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, দর্শকদের ছাড়া তাঁর এই যাত্রা অসম্পূর্ণ থেকে যেত। তাঁক প্রথম থেকে এতটা সাপোর্ট করার জন্য তিনি আপ্লুত।
বিগবস সিজন ১৩-এর 'মোস্ট এগ্রেসিভ' ও 'অ্যাংগ্রি ইয়াং ম্যান' এই সমস্ত তকমার পাশাপাশি 'লাভার বয়' হিসেবেও উঠে এসেছে সিদ্ধার্থ শুক্লার নাম। বিগবসের সিজন ১৩ তাঁকে যেমন বারবার ঝামেলা করতে দেখেছে পাশাপাশি সেহনাজ, দেবলীনা ও মধুরিমার সঙ্গে ফ্লার্ট করতেও দেখেছে। সেনহাজ-এর সঙ্গে সিদ্ধার্থের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে হ্যাশট্যাগ ও বানিয়েছেন তাঁদের ভক্তরা। পাশাপাশি এই ঘর দেখেছে সিদ্ধার্থ ও রেশমি দেশাই-এর সম্পর্ক। এত কিছু ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার পর অবশেষে বিগবস ১৩ ট্রফি নিজের ঝুলিতেই পুড়তে সক্ষম হয়েছেন 'মোস্ট এগ্রেসিভ' সিদ্ধার্থ।