প্রথম পারিশ্রমিক আড়াইশো টাকা, সেখান থেকে দেড় কোটির মাসেরেটি, সুশান্তের স্বপ্ন ছিল আকাশছোঁয়া

  • ছেলেবেলায় নীল রঙের খেলনা গাড়ি ছিল সুশান্তের খুব পছন্দের
  • সেই গাড়ি এক সময় কেনার স্বপ্ন দেখেছিলেন অভিনেতা
  • বলিউডে সফলতা পাওয়ার পর কিনেও ফেলেন সেই গাড়ি
  • আজ গাড়িটি গ্যারেজে পরে থাকলেও, তিনি আর নেই

Adrika Das | Published : Jun 16, 2020 6:03 PM IST

লাক্সারি গাড়ির শখ অধিকাংশ মানুষেরই থাকে। সুশান্ত সিং রাজপুতেরও ছিল। তবে গাড়ি কিনে গ্যারেজে সাজিয়ে রেখে সকলকে দেখানোর জন্য নয়। শখ ছিল লং ড্রাইভের এবং রেসিং। লাক্সারি গাড়ি বাইক তাঁর এতই পছন্দের ছিল যে নিজের পারিশ্রমিক, সঞ্চয়ের অধিকাংশটাই দিয়েছিলেন সেসবের পিছনে। ছেলেবেলায় নীল রঙের একটি খেলনা গাড়ির সঙ্গে খেলতেন। আগে নুডলসের প্যাকেটের সঙ্গে ফ্রি পাওয়া যেত মিনিয়েচার খেলনা গাড়ি। আর পাঁচজন সাধারণ বাচ্চার মতই কেটেছিল সুশান্তের ছেলেবেলা। নীল রঙের খেলনা গাড়িটি অন্যান্য খেলনার চেয়ে বেশি ভালবাসতেন সুশান্ত। পিয়ার্সড দু'টো চোখ স্বপ্ন দেখত, একদিন ঠিক এই রকমই নীল রঙের লাক্সারি গাড়ি কিনবে সে। 

আরও পড়ুনঃকান্নায় বারবার ভেঙে পড়ছেন অঙ্কিতা, 'পবিত্র রিশতা'র পুরনো ভিডিও ভাইরাল নেটদুনিয়ায়

বলিউডে সফলতা লাভ করতে কিনে ফেললেন সেই গাড়ি। মাসেরেটি কোয়াট্রোপোর্টো এসে গেল তাঁর গ্যারেজে। দাম দেড় কোটি। নিজের সঞ্চয়ের অধিকাংশটা এই গাড়ির পিছনে দিয়ে একটিও রিগরেট করেননি তিনি। গাড়িটা এতই শখের ছিল, যে নিজেই ড্রাইভ করতে পছন্দ করতেন। মাঝে মধ্যে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গেও বেরিয়ে পড়তেন এই গাড়ি চালিয়ে। তাঁর প্রথম আয় ছিল মাত্র ২৫০ টাকা। সেখান থেকে দেড় কোটির গাড়ি। যাত্রাপথ মোটেই সহজ ছিল না। নিজের অভিনয় দক্ষতায় মুগ্ধ করেছিলেন সুশান্ত। আরও মুগ্ধ হতে চেয়েছিল দর্শক। আরও 'ছিঁছোড়ে'র মত চিত্রনাট্যে দেখতে চেয়েছিল তাঁকে। তা আর হল কই। না মুগ্ধ হল দর্শক, না সেই মাসেরেটি চালানোর লোক রইল। 

আরও পড়ুনঃসুশান্তের মৃত্যু ঘিরে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য, উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

গ্যারেজে হয়তো পড়ে থাকবে না অমন লাক্সারি গাড়ি। পরিবারের কেউ না কেউ তো তালাবেই প্রয়োজনে। কিন্তু যে ভালবাসা নিয়ে গাড়িটির স্টিয়ারিংয়ে সুশান্তের হাত পড়ত, তা আর কোনওদিন হবে না। মাসেরেটি ছাড়াও একটি দামি বাইকও ছিল সুশান্তের। বিএমডাব্লু কে১৩০০ আর। যা প্রায় ৩০ লাখের কাছাকাছি। শুধু তাই নয়, পালি হিলে কুড়ি কোটি টাকার পেন্টহাউজও কিনেছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে সেই পেন্টহাউজ কিনলেও খুব একটা সেখানে গিয়ে থাকতেন না। সবকিছুই পড়ে পড়ে ধুলো জমবে, ধুলো জমবে হয়তো সকলের স্মৃতিতেও। তবে কোথাও যেন 'কাই পো ছে'র সেই সরল সাধাসিধে ইশানের মতই মাঝে মধ্যে ভেসে উঠবে সুশান্তের মুখ। ভেসে উঠবে নিষ্পাপ সেই হাসি। 

Share this article
click me!