ট্যাবু ভেঙে 'ব্রা'-তেই হট শর্মিলা, তবে থেকেই চলছে বিতর্ক, আজও ব্রা সমালোচনার বিষয়

  • প্রথম ট্যাবু ভেঙে ছক ভাঙার গল্পবলেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর
  • মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে ওঠে অন্তর্বাসের ছবি
  • মধ্যে কেটে গিয়েছে বহু বছর
  • আজও বিতর্কে মূলে সেই মেয়েদের ব্রা

পর্দায় প্রথম ছকভাঙাঃ

Latest Videos

১৯৬৭ সাল, এন ইভিনিং ইন প্যারিস ছবিতে বিকিনি লুকে দেখা যায় শর্মিলা ঠাকপরকে। তাঁর লুক ও ফিগার তখন মুহূর্তে ঝড়\ তুলে ছিল। যদিও পরবর্তীতেই এই বিকিনি লুকই হয়ে ওঠে তরক্রে বিতর্কের মূল। যদিও সমাজ তখন এগিয়ে চলেছে পুরো দমে। একে একে সামাজিক চিন্তধারার ঘটছে বলদ। যার শুরুটা করে দিয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। ভারতে তিনিই প্রথম অভিনেত্রী যিনি এমনই এক সাহসী পদক্ষেপ নিয়ছিলেন। প্রথম কিছু শুরু করা মানেই ভবিয্যত প্রজন্মকে এগিয়ে দেওয়া, কতটা পেড়েছেন তিনি!

 

সমাজ ও ধ্যান ধারনাঃ

যখন শর্মিলা ঠাকুর প্রথম এমনই দৃশ্যে ধরা দিলেন, তবে থেকে কেটে গিয়েছে ৪৩ ছবর। আজও মানুষের মনের সেই অন্ধকার দিকে আলোর প্রবেশ সম্ভব হয়নি। অনেক সাহসী ছবি এখন পর্দায় ধরা দেয়। বিকিন লুক নয়, নগ্ন লুকেও ছবিতে ধরা দিয়ে থাকেন নায়িকারা। কিন্তু ভাইরাল হয়ে ওঠা সেই সব ক্লিপিং-ই যেন হাতে হাতে বিতর্কের কেন্দ্রে পৌঁচ্ছে যায়। তাই দীর্ঘকাল পেরিয়েও আজও মেয়েদের, পর্দায় থাকা অভিনেত্রীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় শরীর দেখানো নিয়ে। আজও সমাজের কাছে ব্রা, অশ্লীল পোশাক। 

ম্যাগাজিনের পাতা ঝড়ঃ 

আবারও সেই শর্মিলাই। শর্মিলা ঠাকুরই প্রথম যিনি প্রথম ম্যাগাজিনের জন্য শ্যুট করেছিলেন অন্তর্বাস পড়ে। সেই ছবিও হয়ে ওঠে ভাইরাল। ফিল্মফেয়ার ম্যাকাজিনের কভার পেজে ছেপে বেড়িয়েছিল শর্মিলার অন্তার্বাসের লুক।  স্টানিং ফিগারে সকলের চোখে ধরা পড়লেও, আলোচনার কেন্দ্রে জায়গা করে নেয় সেই ব্রা। অন্তর্বাসে ছবি মানেই যে তা সমাজের একশ্রেণীর চোখে পাপ। 

 

ববিতে ডিম্পল, নয়া মোড়ঃ

১৯৭৩ সাল, ঋষি কাপুরের বিপরীতে ডিম্পল। তাঁর লুক থেকে শুরু করে পোশাক, সবই যেন এক কথায় ছাপিয়ে যায় সমসাময়িক বাধ্যবাধকতা। যদিও ছকভাঙার গল্প বলে আসছে বলিউডৃ বহু দিন ধরেই। কিন্তু তা তো পর্দায়। পর্দার চরিত্রতা যতটা স্বাধীনতা পায়, বাস্তবে কী তার অর্ধেকও মেয়েরা অনুভব করে পারে! প্রশ্ন থেকেই যায়। কখনও মেয়েরা ছবি জুড়ে তুলছে ঝড়, কখনও আবারসেই ছবি ঘিরেই হচ্ছে সমালোচলার শিকার। 

পোস্টারে, বিজ্ঞাপনে খোলামেলা লুকঃ

সমাজ এক কথায় মেনে নিতে নারাজ। ব্রা যেন দেখা না যায়। এমন কী কাঁধের কাছে বারে বারে হাত দিয়ে দেখে নাও, কোনও সমস্যা হচ্ছে না তো! না সমস্যা মেয়েদের এক অংশের নয়। সমাজের এক অংশ পুরুষ ও মহিলারাই আজও বয়ে চলেছেন এই ট্যাবু। ব্রা মানেই তা রাখ রাখ ঢাক ঢাক বিষয়। প্রকাশ্যে এসে যাওয়া মানেই তা লজ্জা। এমনই ধারণা আজও বহন করছে শত শত মানুষ। অথচ মেয়েদের সেই বিকিনি পড়া হট লুকেই এক সময় বিকত ছবি। পোস্টারে পোস্টারে ছড়িয়ে থাকত নায়িকারে বিকিনি লুক। যা ছবির ব্যবসাতেও ফেলত প্রভাব। 

এটা কি ব্রা ছিলঃ 

তবে বর্তমানে বলদেছে ছবি, বদল ঘটেছে ছবির ধরণের। ছবি এখন গল্পের ওপর ভিত্তি করেই দেখতে বেশি পছন্দ করেন দর্শকেরা। কিন্তু আজও কোথাও গিয়ে যেন সেই বিকিনি প্রশ্ন তৈরি করতে পিছু হটছে না। সম্প্রতি নুসরত বারুচা, একটি গানে ভাইরাল লুকে যখন উষ্ণতা ছড়ালেন, বাড়ি ফইরে তাঁকে শুনতে হয়েছিল আচ্ছা এটা কি ব্রা পরে ছিলেন... প্রশ্নটা আসে তাঁর বাবার কাছ থেকে। সেখানেই শেষ নয়। উল্টে তাঁকে শুনতে হয় তাঁকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে এবার, তাঁর বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে। 

 

ভাইরাল স্বস্তিকাঃ

সম্প্রতি সেই একই প্রশ্নের মুখে পরেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও। তিনিও সেই একই কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিলেন। সমাজ বদলের গল্প গলে, বদলটা আনবে কে, তা জানানেই কারুরই। সম্প্রতি এক পোস্টার ঘিরে শুরু বিতর্ক, যেখানে স্বস্তিকার ব্রায়ের স্ট্রাব দেখা যায় তাঁর। তখন নেট পাড়াতে মুহূর্তে ভাইরাল হয় তাঁর এই নিয়ে মতামত। যেখানে তিনি হলফ করে জানিয়ে দেন, এই পরিস্থিতিতেও যখন মানষের এই চিন্তা বদলায়নি, তখনহয়তো আগামী ত্রিশ বছরেও তা বদলাবে না। তবে বদলের কথা বলে চলতে যবে। থেকে থাকা যাবে না। চরিত্রের চাহিদায় হোক, বা কঠিন বাস্তবের মাটিতে, পোশাক নিয়ে মেয়েদের কোণ ঠাঁসা করে রাখা এবার বন্ধ হোক। সকলকে প্রয়োজনে কণ্ঠ ছাড়ার কথাও মনে করিয়া দিলেন স্বস্তিকা। 

Share this article
click me!

Latest Videos

প্রেমিক আসল শয়তান! মাঝরাতে ঘটল 'জঘন্য' ঘটনা, হতবাক সকলে! | Ashoknagar News Today
'আমি বলছি, আমার নাম করে লিখে রাখুন' ঝাঁঝিয়ে উঠে যা বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
বাপ রে! ইঞ্জেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে ডাকাতি! আতঙ্কের ছায়া গোটা এলাকায় | Salt Lake Theft News Today
TMC ছেড়ে কেন BJP-তে শুভেন্দু! আজ নিজেই বলে দিলেন সব | Suvendu Adhikari | Bangla News
'উপনির্বাচনে জিতে আরও অত্যাচার বাড়াবে TMC' উদ্বেগ প্রকাশ Adhir Ranjan Chowdhury-র