কেকে-র এই আকস্মিক প্রয়াণে সকলেই শোকস্তব্ধ। তারকা থেকে সঙ্গীতশিল্পী সকলেই তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। কেউই যেন এটা মেনে নিতে পারছেন না। এমন একটা খবর যা ভাবলেই চোখে জল চলে আসছে। গায়কের মৃত্যুতে সঙ্গীতশিল্পী অনীক ধর জানিয়েছেন, প্রচন্ড খারাপ একটা খবর। কাল রাতে যখন কেকে-এর খবরটা শুনলাম তখন থেকেই একটা কষ্ট অনুভব করছি। যেন মনে হচ্ছে আমার কোনও কাছের বন্ধু বা পরিবারের কারোর এই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে আমাকে সবথেকে বেশি কষ্ট দিচ্ছে যে কলকাতার নজরুল মঞ্চ থেকে কেন কেকে স্যারকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হল, যদি নজরুল মঞ্চ থেকে পাশেই এএমআরআই কিংবা কাছের কোনও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চেষ্টা করা হতো। এতবড় মাপের একজন শিল্পীকে কোনও চেষ্টাই করা হল না। আর কেকে স্যার হোটেলে গিয়ে পড়ে গেলেন তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই যে এতটা সময় ধরে তিনি কষ্ট পেলেন তার কোনও চেষ্টাই করা হল না।
কলকাতায় আসছেন বলিউডের স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী কেকে। এটা শোনার পর থেকেই যেন ভক্তদের মধ্য়ে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছিল। অবশেষে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। গত মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে গানের অনুষ্ঠান করতে এসেছিলেন কেকে। গায়কের বিখ্যাত গানগুলি একেবারে কাছ থেকে শোনার জন্য যেন উপচে পড়েছিল ভিড়। তবে কলকাতায় গান গাওয়া যে জীবনের শেষ গান হবে তা মনে হয় কেউ ভাবকে পারেননি। বলিউডের এই বিখ্যাত গায়কল নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের মধ্যেই অসুস্থ বোধ করছিলেন। তারপর হোটেলে ফিরতেই আরও যেন বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার রাতেই নিউমার্কেটের পাঁচতারা হোটেল থেকে গায়ককে একবালপুরের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যেতেই চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে সঙ্গীতমহলে।
কেকে-র এই আকস্মিক প্রয়াণে সকলেই শোকস্তব্ধ। তারকা থেকে সঙ্গীতশিল্পী সকলেই তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। কেউই যেন এটা মেনে নিতে পারছেন না। এমন একটা খবর যা ভাবলেই চোখে জল চলে আসছে। গায়কের মৃত্যুতে সঙ্গীতশিল্পী অনীক ধর জানিয়েছেন, প্রচন্ড খারাপ একটা খবর। কাল রাতে যখন কেকে-এর খবরটা শুনলাম তখন থেকেই একটা কষ্ট অনুভব করছি। যেন মনে হচ্ছে আমার কোনও কাছের বন্ধু বা পরিবারের কারোর এই ঘটনাটি ঘটেছে। কারণ কেকে স্যারের সঙ্গে এক থেকে দুবার মুম্বইতে যখন কোনও লাইভ অনুষ্ঠানে আমার দেখা হয়েছে তখন তিনি এত সুন্দর করে আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন যে মনে হয়েছিল আমারই কোনও সমবয়সী গায়ক। মনেই হয়নি যেন এত বড় একজন কিংবদন্তী শিল্পী যার গান শুনে , এবং যার গান শিখে আমার বড় হয়েছি, তিনি যেন একটা ইন্সস্টিটিউশন, তাদের কাছ থেকে এত শিখেছি এটা যেন ভাষায় বলা যায় না।
অনিক আরও জানিয়েছেন, এমনকী হৃত্বিকের কাইটস ছবির দিল কিউয়ে মেরা গানের প্রথম প্যারাটাও আমি গেয়েছিলাম যখন আমার বয়স ১৭ কিন্তু সেই সময় হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে আমার গলায় ম্যাচ করেননি এবং কেকে স্যার গানটি গেয়েছিলেন এটা যেন আমার কাছে একটা বিশাল জায়গা। কারণ এগুলো একটা স্বপ্ন , যারা আমাদের ছোটবেলা থেকে একটা বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে তার গানের মাধ্যমেই বন্ধুত্ব, ভালবাসা, প্রেম, বিরহ, বিচ্ছেদ যে কোনও মুহূর্তের সঙ্গেই আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গে কোথাও না কোথায় মিল রয়েছে। সেই মানুষটা কিনা চিকিৎসা করার কোনও সুযোগই দিলেন না, এইভাবে তিনি চলে গেলেন। তবে আমাকে সবথেকে বেশি কষ্ট দিচ্ছে যে কলকাতার নজরুল মঞ্চ থেকে কেন কেকে স্যারকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হল, যদি নজরুল মঞ্চ থেকে পাশেই এএমআরআই কিংবা কাছের কোনও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চেষ্টা করা হতো। এতবড় মাপের একজন শিল্পীকে কোনও চেষ্টাই করা হল না। আর কেকে স্যার হোটেলে গিয়ে পড়ে গেলেন তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই যে এতটা সময় ধরে তিনি কষ্ট পেলেন তার কোনও চেষ্টাই করা হল না। আর খারাপ লাগছে এটা ভেবে যে কোনও শো-এর পরে আমরা হোটেলে ফিরেই বাড়িতে ফোন করে বলি যে শো শেষ করে হোটেলে ফিরেছি, এবার ফ্রেশ হয়ে ডিনার করে ফোন করছি, কিংবা ভিডিও কল। আর কেকে স্যারের ক্ষেত্রে তার পরিবারকে ফোন করে জানানো হল তিনি আর নেই। এর চেয়ে বড় দুঃখের মনে হয়না আর কিছু হতে পারে। কেকে-প্রয়াণে প্রচন্ড ভাবেই ভেঙে পড়েছে তার পরিবার পরিজন এবং তার সমস্ত ভক্তরা। সকলকেই যেন ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন বলিউডের স্বনামধন্য গায়ক কেকে।