৬০ বছরের পাদরি বলত, মেয়েদের 'হোলি বাথ' বা পূন্যস্নান করাতে নিয়ে যাচ্ছে। আর তার আড়ালেই একের পর এক মেয়ের উপর চালাতো যৌন নির্যাতন। সম্প্রতি তার এই পূন্যস্নান করানোর পরই ৪ জন মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ায় পাদরির কুৎসিত রূপ ফাঁস হয়ে গিয়েছে সকলের সামনে। এভাবে কতজন মেয়েকে সে ধর্ষণ করেছে না জানা গেলেও, মাইকেল ওলুরনবি নামে সেই স্বঘোষিত পাদরি-কে ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম ক্রাউন কোর্ট ১৫টি ধর্ষণ ও ৭ টি হিংসার ঘটনার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে।
এই মাইকেল হল অনেকটাই আমাদের গুরু রামরহিম, আশারাম বাপু, বা হালের নিত্যানন্দের মতো। স্বঘোষিত গডম্য়ান বা ধর্মগুরু। ধর্মের জিগির তুলে বেশ কিছু লোক জুটিয়ে রামরহিমের মতোই সে একটা বেশ বড় আশ্রম মতো গড়ে তুলেছিল। ধর্মের নেশায় অন্ধ হয়ে বহু মানুষ সেখানে আসতেন। বহু অল্পবয়সী মেয়েরাও আসত পবিত্র স্মনানের মাধ্যমে আত্মাকে শুদ্ধ করতে। শয়তানের হাত থেকে মুক্তি পেতে।
আর সেই দুর্বলতারই সুযোগ নিত মাইকেল। আশ্রমে আগত বহু মেয়েকেই সে ধর্ষণ করেছে। নিয়মিতই চলত তাঁর এই যৌন নির্যাতন। বহু ক্ষেত্রে ধর্ষণের পর নির্যাতিতা গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। সেই সব ক্ষেত্রে সে তাদের যৌন গর্ভপাত করতেও বাধ্য করত বলে অভিযোগ। কিন্তু ৪ জনের ক্ষেত্রে সে তা করতে পারেনি বলেই শেষ পর্যন্ত অপশক্তি দূর করা নামে তার এই জঘন্য অভিসন্ধি ফাঁস হয়ে গিয়েছে।
নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে চেপে ধরে একটি ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে মিশেল নিজের সব দোষ স্বীকার করেছে। সম্প্রতি, বার্মিংহাম পুলিশ মাইকেলের সেই ভিডিওটি প্রকাশ করেছে। তাতে সে তার অপরাধ স্বীকার করলেও তার আধ্বাত্মিকতার ঢং যায়নি। ভিডিওতে সে বলেছে, 'আমি আর মানুষ ছিলাম না। একটি দন্তু হয়ে গিয়েছিলাম। দুষ্ট শক্তি আমাকে ঘাতক করে তুলেছিল'।
তবে তার এইসব কৌশল কাজে দেয়নি। ভিডিওটি দেখেই বিচারক মামলায় মাইকেলকে দোষাী সাব্যস্ত করার পথের সব বাধা দূর করে দেন। তার পক্ষে জমা পড়া সব নথি বাতিল করে দেন। তবে এখনও তার শাস্তি ঘোষণা করা হয়নি।