অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে 'পুশব্য়াক' করা নিয়ে মমতার মন্তব্য়ে জোর বিতর্ক

Published : Jan 15, 2020, 07:53 PM IST
অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে 'পুশব্য়াক' করা নিয়ে মমতার মন্তব্য়ে জোর বিতর্ক

সংক্ষিপ্ত

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতার চাঞ্চল্যকর দাবি   পুশব্যাক নিয়ে মমতা দাবি করেছেন, তিনি কিছুই জানেন না এই বিষয়ে যদিও মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, তাঁর জ্ঞাতসারেই  বেআইনিভাবে পুশব্যাক চলছে মোদি আর সংখ্যালঘু ভোট, দুইয়ের ভারসাম্য রাখতেই তিনি এমন কথা বলছেন বলে তাঁদের দাবি

সম্প্রতি কর্নাটক থেকে ৫৯জনকে বাংলাদেশি সন্দেহে নিয়ে আসা হয় এ রাজ্য়ে। তারপর এখান থেকে পুশব্য়াক করা হয় বাংলাদেশে। মানবাধিকার সংগঠনগুলির বক্তব্য়, এইভাবে পুশব্য়াক করা এখন রীতিমতো বেআইনি। নিয়ম অনুযায়ী অনুপ্রবেশকারী হিসেবে কেউ ধরা পড়লে তাঁকে ম্য়াজিস্ট্রেটের কাছে আদালতে তুলতে হবে। তারপর আশ্রয় দিতে হবে। ওই সময়ে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে কাগজ চালাচালি চলবে। তবেই   তাঁকে তাঁর দেশে ফেরত পাঠাতে যাবে। কিন্তু মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, আদৌ এই আইনি প্রক্রিয়াটি মানা হয় না। তার বদলে কার্যত তাঁদের ঘাড়ধাক্কা দিয়ে পুশব্য়াক করা হয়। আর সব কিছুতে রাজ্য প্রশাসনের সায় থাকে।{  মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের সম্পাদক কিরীটি রায়ের কথায়,  "কিছুদিন আগে কর্নাটক থেকে ৫৯জনকে  নিয়ে আসা হল হাওড়া স্টেশনে। সেখান থেকে জগাছায় তাঁদের রাখা হল। সেখানকার বিডিও তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। তারপর সীমান্ত দিয়ে তাঁদের বাংলাদেশে পুশব্য়াক করা হল। এরমধ্যে জেলা প্রশাসন যদি যুক্ত না-থাকে, হাওড়ার পুলিশ সুপার যদি বিষয়টা না-জানেন তাহলে কি এসব সম্ভব? এরপরেও যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন তিনি কিছু জানেন না, তাহলে বলতে হবে তাঁর প্রশাসন কী করছে সে খবর তিনি রাখেন না।"

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে সীমান্ত থেকে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন অনুপ্রবেশকারীকে পুশব্যাক করা হয়েছে।তাতে করে দৃশ্যতই ক্ষুণ্ণ বাংলাদেশ। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার উষ্মা প্রকাশও করেছে। যার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তিনি পুশব্যাকের বিষয় কিছুই জানেন না।  তাতে করে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে, একটি সরকারে প্রধান হয়েও তিনি জানবেন না তাঁর রাজ্যের মধ্যে দিযে ক-জনকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে ওপার বাংলায়, এ-ও কি সম্ভব। মোহিত রায়ের কথায়, "পুশব্যাক তো আজকের বিষয় নয়। জোতিবাবুর আমলে শুধু প্রথম ১৫ বছরেই ৬ লাখ লোককে পুশব্যাক করা হয়েছিল। উনি নিজেই তা দাবি করেছিলেন। তাই, কোনও রাজ্য সরকারের অজ্ঞাতে পুশব্যাক কখনই সম্ভব নয়।  কোনও  বিশেষ সম্প্রদায়কে তুষ্ট করতেই মুখ্যমন্ত্রী  এ-কথা বলছেন। কারণ, তিনি যদি জ্যোতিবাবুর মতো স্বীকার করে নেন যে তিনিও পুশব্যাক করছেন, তাহলে সেই সম্প্রদাযের ভোট পাবেন কী করে?  কিরীটি রাযের দাবি, "মুখ্যমন্ত্রী দু নৌকোয় পা-দিযে চলছেন। এখানে তো এনপিআর চালু রয়েছে। আসতে তাঁকে মোদীকেও খুশি করতে হবে, অন্যদিকে সংখ্যালঘু ভোটকেও  তাঁর দিকে টানতে হবে। তাই তিনি পুশব্য়াক নিয়ে কিছুই জানেন  বলে  দাবি করছেন।"

 

 

 

 

 

 

 

PREV
click me!

Recommended Stories

বিস্ফোরক বা মাদক আছে বলে সন্দেহ, লন্ডনে মহসিন নকভির গাড়ি তল্লাশি পুলিশের
LIVE NEWS UPDATE: 'ক্রিকেটের চেয়ে অন্য কোনও কিছুকে বেশি ভালোবাসি না,' বার্তা স্মৃতি মন্ধানার