করোনা টিকা আসতে কত সময় লাগবে, প্রশ্ন তুলে নতুন করে ট্রায়াল শুরুর পথে অ্যাস্ট্রোজেনেকা

 

  • প্রশ্নের মুখে পড়েছিল অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা 
  • ট্রায়ালেই দেখা দিয়েছিল প্রশ্ন 
  • তারপরই নতুন করে ট্রায়ালের চালু করতে পারে 
  • তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন সংস্থার প্রধান 

Asianet News Bangla | Published : Nov 26, 2020 6:25 PM IST

আবারও নতুন করে ট্রায়াল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চানালো হবে। প্রতিষেধকের ফলাফল সমীক্ষায় বেশ কিছু গলদ ধরা পড়ে। তারপরি প্রেক্ষিতেই অতিরিক্ত আরও একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রস্তুতিত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন অ্যাস্ট্রোজেনেকার কর্ণধার পাস্কাল সরিওট। তিনি বলেছেন তাঁদের তৈরি টিকার কার্যকারিতা মূল্যায়ন করার জন্য বিশ্ব জুড়ে অতিরিক্ত আরও একটী পরীক্ষা চালান হবে। 


সরিওট জানিয়েছেন, বর্তমানে মার্কিন প্রক্রিয়াতে  ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। তবে আগামী দিনে  অ্যাস্ট্রোজেনেকা নিজেই কম স্বেচ্ছাসেবদের নিয়ে ভালো ফল পেতে নতুন একটি গবেষণা শুরু করবে। তিনি আরও বলেছেন, চলতি সমীক্ষাতে দেখা গেছে তাঁদের টিকাটি সংক্রমণ রুখতে রীতিমত কার্যকর। তাই আরও একটি অতিরিক্ত গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন আন্তর্জাতিক স্তরেই সেই গবেষণা হবে। তবে সেই গবেষণা খুব দ্রুততার সঙ্গে করা হবে। আর সেই কারণেই খুব অল্প সংখ্যক রোগীর ওপরেই প্রয়োগ করা হবে টিকা। 


অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। টিকা তৈরিতে গোলমাল রয়েছে বলেও সংস্থার পক্ষ থেকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। আর সেই কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নও টিকা অনুমোদনে বাধা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সরিওয় এখনও মনে করেছেন না যে অতিরিক্ত ট্রায়ালে ব্রিটেন বা ইউরোপিয় ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদন দিতে দেরি করবে। তবে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন ছাড়পত্র দিতে দেরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন তিনি। 

অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনের তরফ থেকে জানান হয়েছে, ট্রায়ালরানে ধরা পড়েছে, যাদের প্রতিষেধকের সম্পূর্ণ দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল তাদের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের কার্যকারিতা মাত্র ৬২ শতাংশ। অন্যদিকে যাদের অর্ধেক পরিমাণে প্রতিষেধকের ডোস দেওয়া হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে।

মূলত দুটি ডোসের প্রতিষেধক পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাহলে কেন এজাতীয় ঘটনা ঘটল? এজাতীয় একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ে কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নেয়  প্রতিষেধকটি তৈরির সময় কিছু সমস্যা থেকে যেতে পারে। ভুলের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা গেছে, ট্রায়াল রানের সময় কিছু মানুষকে প্রতিষেধকের অর্ধেকটা ডোস দেওয়া হয়েছিল। ত্রুটির কারণ লুকিয়ে ছিল প্রতিষেধকের শিশির মধ্যে। কিছু শিশিতে প্রতিষেধের পরিমাণ অনেকটাই কম ছিল। যদিও অ্যাস্ট্রোজেনেকার মূল বিবৃতিতে তা প্রকাশ করা হয়নি। যদিও অক্সফোর্ডের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল, যখন স্বল্পমাত্রায় ডোজ ব্যবহার করা হয়েছিল তখন নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল। দু-পক্ষের সঙ্গে চুক্তি করে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারা আরও জানিয়েছে, ঘণত্বের পরিমাণের জন্যই এই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে বর্তমানে প্রতিষেধকের প্রতিটি ব্যাচেই সমপরিমাণ ওষুধ রয়েছে। অ্যাস্ট্রোর মুখপাত্র জানিয়েছিলেন,  সমীক্ষায় কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি। 
 

Share this article
click me!