BREAKING NEWS- ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার থেকে পদত্যাগ লিজ ট্রাসের

ট্রাস প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর অর্থনীতির অব্যবস্থা শুরু হয় ব্রিটেন জুড়ে। পাশাপাশি, দলে বিদ্রোহ শুরু হয়। গত এক সপ্তাহে দুই মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

Parna Sengupta | Published : Oct 20, 2022 12:54 PM IST / Updated: Oct 20 2022, 06:40 PM IST

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ লিজ ট্রাসের। বৃহস্পতিবার তিনি পদত্যাগ করেছেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি তার বিতর্কিত কর হ্রাস পদ্ধতির চাপেই তাঁকে চেয়ার ছাড়তে হয়েছে। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি এ পদে বহাল থাকবেন। তিনি বলেছিলেন যে কনজারভেটিভ পার্টি আমাকে যে আশা ও ভরসা নিয়ে নির্বাচিত করেছে তা আমি পূর্ণ করতে পারিনি। 

ট্রাস প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর অর্থনীতির অব্যবস্থা শুরু হয় ব্রিটেন জুড়ে। পাশাপাশি, দলে বিদ্রোহ শুরু হয়। গত এক সপ্তাহে দুই মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ পর্যন্ত তার দুজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন অর্থমন্ত্রী কোয়াজি কোয়ার্টেং এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান। ব্রিটেনের রাজনৈতিক ইতিহাসে লিজ ট্রাস সবচেয়ে স্বল্পস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী। তিনি মাত্র ৪৫ দিন ক্ষমতায় ছিলেন। ওয়েস্টমিনস্টারে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে, কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা লিজ ট্রাসকে নেতা নির্বাচিত করার সেপ্টেম্বরের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশও করেন। ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই নিজের চেয়ার বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়েছিল লিজ ট্রাসের।

ট্রাসের বিরোধিতা করার কারণ
লিজ ট্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার একটি নয়, একাধিক কারণ তুলে ধরেছেন আইন প্রণেতারা। প্রকৃতপক্ষে, নির্বাচনী প্রচারের সময় তার কর কমানোর সিদ্ধান্তটি তখন ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল কিন্তু এখন এটি তার গলায় ফাঁস হয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও তার কর কমানোর সিদ্ধান্তের কটাক্ষ করেছেন। বাইডেন যুক্তি দিয়েছিলেন যে মুদ্রাস্ফীতি বিশ্বব্যাপী, এই পরিস্থিতি কর কমানোর সিদ্ধান্ত অনেকটা আত্মঘাতী গোলের মত হবে। তবু সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষায় কনজারভেটিভ পার্টি বিরোধী লেবার থেকে পিছিয়ে থাকায় এই বিশৃঙ্খলা পার্টিতে অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে।

উল্লেখ্য, এক মাস আগেই ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন লিজ ট্রাস। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরাজিত করেন। লিজ ট্রাস ৮১৩২৬ ভোট পান এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাক ৬০৩৯৯ ভোট পান। ঋষি সুনাক প্রথম পাঁচ রাউন্ডে বিশাল লিড পেয়েছিলেন, কিন্তু কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের চূড়ান্ত ভোটে লিজ ট্রাস জিতেছিলেন। এই নির্বাচনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রকাশ্যে লিজ ট্রাসকে সমর্থন করেছিলেন।

সিন্ধু প্রদেশে ১৫ বছরের হিন্দু মেয়েকে অপহরণ, পাকিস্তানে ১৫ দিনের মধ্যে চতুর্থ ঘটনা

প্রথম নরবলি কাজ করেনি, সেই কারণে দ্বিতীয়বার বলি- তদন্ত নেমে হাড়হিম করা তথ্য কেরল পুলিশের হাতে

Share this article
click me!