বাজেট পেশের পর থেকেই যা নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়ে গিয়ছে গোটা দেশজুড়ে। এদিকে বাজেট পেশের পরেই ফের কেন্দ্রকে তুলোধনা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
অর্থমন্ত্রীর হাত ধরে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের পর থেকেই যা নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়ে গিয়ছে গোটা দেশজুড়ে। নানা চাপানউতর শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক মহল থেকেও। এদিকে বাজেট পেশের (Union Budget 2022 )পরেই ফের কেন্দ্রকে তুলোধনা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Bengal Chief Minister Mamata Banerjee)। এমনকী এই বাজেটকে দিশাহীন বাজেট বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে টুইটও করেন তিনি। এদিন টুইটারে (Mamata's Tweet) তিনি লেখেন, "সাধারণ মানুষের জন্য এই বাজেট শূন্য, তাঁরা বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতির দ্বারা পিষ্ট হচ্ছেন। সরকার বড় বড় কথায় হারিয়ে গিয়েছে, কিছুই বোঝাতে পারেনি তারা। এটি পেগাসাস স্পিন বাজেট। " তাঁর এই টুইট নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবারের বাজেটে মধ্যবিত্তের জন্য তেমন কিছুই বড় ঘোষণা করেননি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এমনকী অপরিবর্তিত রয়েছে আয়করের হারও। তবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের NPS-এ করছাড়ের মাত্রা ১০ – ১৪ শতাংশ করেছে কেন্দ্র সরকার। যা খানিকটা আশার আলো দেখিয়েছে মধ্যবিত্তকে। তবে মোটের উপর এই বাজেটের হাত ধরে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা বিশেষ উপকৃত হচ্ছেন না বলেই মত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশের। এদিকে মমতা ছাড়াও টুইট করে বাজেট নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। হিরের উপর আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়টিকে নিয়েও কটাক্ষ শানিয়েছেন তিনি। এদিন টুইট করেতিনি লিখেছেন, "হিরে এই সরকারের পরম বন্ধু। বাকি কৃষক, মধ্যবিত্ত, দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ ও বেকারদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিছুই করেননি।"
আরও পড়ুন- কর ব্যবস্থায় সরলীকরণে জোর, এবারের বাজেটে ঠিক কতটা উপকৃত হতে চলেছে করদাতারা
আরও পড়ুন- আগামী ২৫ বছরে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ভারতীয় অর্থনীতি, বড় ঘোষণা নির্মলার
অন্যদিকে একইসাথে বাজেট নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। এই বাজেটে আদপে কৃষক থেকে সাধারণ মানুষ প্রত্যেকেই বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। কটাক্ষবান শানিয়ে এদিন টুইটারে তিনি লেখেন, "কাদের জন্য এই বাজেট? দেশের ৭৫ শতাংশ সম্পদ দেশের ১০ শতাংশ বিত্তবানদের দখলে।অতিমারীর সময় যখন বেকারত্ব, দারিদ্র বেড়ে গিয়েছিল, তখনও যাঁরা মুনাফা করেছে তাঁদের কর কেন বাড়ানো হল না?" তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে এখন নানা চাপানউতর শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন- মোদী জমানায় কতটা এগিয়েছে ভারত, একনজরে মোদী সরকারের শেষ ৯ বাজেট