নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে এ রাজ্যে অভিনন্দন যাত্রা কর্মসূচিতে বিড়ম্বনা বাড়ছে বিজেপি-এরই। এবার বর্ধমানে প্রকাশ্য জনসভায় পুলিশের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দলের এক যুবনেতা।
এ রাজ্যে সিএএ-র প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা প্রচারে নেমেছে বিজেপিও। কর্মসূচির পোশাকি নাম অভিনন্দন যাত্রা। বৃহস্পতিবার বর্ধমান শহরে 'অভিনন্দন যাত্রা'-র অঙ্গ হিসেবে এক জনসভা আয়োজন করে জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। সেই জনসভা বক্তব্য় রাখতে গিয়ে পুলিশকর্মীদেরই মারা নিদান দেন বিজেপি-এর যুবনেতা শ্যামল ঘোষ। তিনি বলেন, 'পুলিশের ভ্য়ান জ্বালান। দেখবেন, তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। তৃণমূল চলছে পুলিশের উপর নির্ভর করে। দোতলা বাড়ির নিচের তলা ভেঙে দিলে, যেমন উপরের তলাটাও ভেঙে পড়ে, ঠিক তেমনি পুলিশকে মারলে তৃণমূল ভেঙে পড়বে। আপনাকে ভাঙতে হবে না।' ঘটনার একদিন বাদে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা শ্যামল ঘোষকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
আরও পড়ুন: "হিন্দু-মুসলমান ভাগ করছি বেশ করছি, তোর বাপের কী রে", আবার 'ভাইরাল' দিলীপ
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে কৃষ্ণনগরে দলের সভার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সকে ঘুরপথে যেতে বলে বিতর্কে জড়ান বিজেপি-এর রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিও দেখা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরে প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তায় বিজেপি-এর সভা চলছে, মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছেন খোদ দলের রাজ্য সভাপতি। এদিকে ভিড়ের মাঝে আটকে পড়েছে একটি অ্যাম্বুল্যান্স। মঞ্চে থেকে দিলীপ ঘোষ চালককে বলছেন, 'এখান থেকে যাওয়া যাবে না। গাড়ি ঘুরিয়ে নিন।' গত বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে কৃষ্ণনগরে কোতুয়ালি থানায়। শুধু তাই নয়, সেদিন ওই অ্যাম্বুল্যান্সে করে এক প্রসূতিকে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।