পত্রলেখা বসু চন্দ্র-বর্ধমানঃ- আদালত থেকে জামিন পেলেন দিলীপ ঘোষ। বর্ধমান আদালত থেকে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্যের মামলায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী হওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে জামিন মঞ্জুর করল বর্ধমান আদালত। উল্লেখ্য, পরবর্তী শুনানি ডিসেম্বর ৩০ তারিখ।
' টাকা যায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে'
প্রসঙ্গত, ২০১৯ এর ৪ নভেম্বর বর্ধমানের রায়না এলাকায় একটি সভায় পুলিশের বিরুদ্ধে রীতিমত বিষোদগার করেন বঙ্গ-বিজেপির সভাপতি। ওই সভায় দিলীপ ঘোষ বলেন,'রাজ্য়ের পুলিশ কর্মীরা গলা অবধি দুর্নীতিতে ডুবে। টাকা না দিলে পুলিশের চাকরি মেলে না প্রমোশনের জন্যও পুলিশকে টাকা দিতে হয়। এসপি থেকে ওসি সকলকে টাকা তুলতে হয়। এবং টাকা যায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে'। এই বিতর্কিত মন্তব্য়ের জেরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রায়নার সেহারাবাজার ফাঁড়ির এক পুলিশ কর্মী। এরপর রায়নার সেহারাবাজার ফাঁড়ির ওই পুলিশ কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতেই একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ৫০৪ ও ৫০৫(১) ধারায় মামলা রুজু হয়। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। তারপরেই দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরবর্তী শুনানি ডিসেম্বর ৩০ তারিখ।
'রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের ঘর হয়ে গেছে রাজ্য'
বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'এই সরকার যতদিন এসছে পশ্চিমবঙ্গে জেলায় জেলায় বিস্ফোরণ হচ্ছে। বোম বন্দুকের কারখানা পাওয়া যাচ্ছে । বাইরে থেকে বিস্ফোরক আসছে। মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায় উগ্রপন্থী ধরা পড়েছে। মালদায় আগে টোটোতে বিস্ফোরণ হয়েছিল। বর্ধমান, বীরভূমে বিস্ফোরণ হয়েছে। এই সরকার প্রশাসনের ওপর কন্ট্রোল নেই। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের ঘর হয়ে গেছে রাজ্য', বলে অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। এই সরকার ভোট ব্যাংকের জন্য কাউকে কিছু বলছে না। কেন্দ্রীয় এজেন্সি ছাড়া সত্য সামনে আসবে না' বলে তিনি বলেন। অপরদিকে ছট পুজোর প্রসঙ্গ তুলে তিনি জলাশয়ের স্বচ্ছতার নিয়েও বলেন। রবীন্দ্র সরোবর নিয়ে হাই কোর্ট অর্ডার দিয়েছিল ছট পুজো বন্ধের জন্য। কেএমডি সুপ্রিম কোর্টে যায়। এই রায় নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন জলাশয় স্বচ্ছতা দরকার এবং কোর্টের রায়কে স্বাগত জানান।