ব্রিটিশ আমলে খনি ভরাট না করা নাকি অবৈধ খনন? ধস নামল আসানসোলের বারাবনিতে। খনি গর্ভে চলে গেল আস্ত একটি দোতলা বাড়ি। বরাতজোরে রক্ষা পেল একটি পরিবার। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
জামুড়িয়া ও বারাবনির সীমানার ছোট্টগ্রাম ফরিদপুর। শুক্রবার সকাল ৯ টা নাগাদ আচমকাই হাজি সাহেব নামে এক ব্য়ক্তির দোতলা বাড়িটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে খবর ভোর রাতেই নাকি দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছিল। বিপদের আঁচ পেয়ে বৌমা ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন হাজি সাহেব। এমনকী, স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে জিনিসপত্রও বের করে আনেন তিনি। এদিকে ততক্ষণে দেওয়ালে ফাটল আরও বেড়েছে। শেষপর্যন্ত বাড়িটি ধসে পড়ে।
আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকা ঢুকছে অ্যাকাউন্টে, ৩০ টি গ্রুপের অ্যাডমিন 'জঙ্গি যুবতী'
জানা গিয়েছে, ইসিএলের শ্রীপুর এরিয়ার অন্তর্গত বারাবনির ফরিদপুর গ্রাম। একসময়ে ইসিএলেই চাকরি করতেন বছর চুরাশির হাজি সাহেব। অবসর নেওয়ার পর গ্রামের শেষপ্রান্তে মাঠের ধারে একতলা বাড়ি তৈরি করেন তিনি। পরে বাড়িটি দোতলা করা হয়। খনি এলাকার জমি দখল করে বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বারাবনির বাসিন্দা তথা বিজেপির ব্লক আইটি সেলের নেতা কৌশিক চক্রবর্তীর দাবি, যে এলাকায় ধস নেমেছে, সেখানে ইসিএলের কোনও খনি নেই। তবে ব্রিটিশ আমলের পরিত্যক্ত খনি থেকে অবৈধভাবে কয়লা তোলা হত। নিয়মিত খনিতে বিস্ফোরণও ঘটাত কয়লা মাফিয়ারা। তার জেরে বিপত্তি ঘটেছে। ইসিএলের সিএমডি কারিগরি সচিব নিলাদ্রী রায়ের বক্তব্য, 'জমিটি রেলের। ওখানে আমাদের কোনও খনি।' কিন্তু খনি যদি নাই থাকে, তাহলে ধস নামল কী করে? তদন্তের দাবি তুলেছে ইসিএল কর্তৃপক্ষ।