করোনা আতঙ্কে তাঁকে হোটেল ছেড়ে চলে যেতে বলেছিলেন কর্মীরা। 'সেল্প আইসোলেশন'-এ থাকার পর 'উধাও' গেলেন এক অধ্যাপক। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। \
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত পালাল ট্রেনে করে, খড়্গপুরে যাত্রীদের তল্লাশি চালাল রেল পুলিশ
রায়গঞ্জের সুরেন্দ্রনাথ কলেজের প্রাণীবিদ্যায় অধ্যাপক পৃথ্বীরাজ ঝাঁ। শহরের বীরনগর এলাকায় থাকেন তিনি। ওই অধ্যাপকের দাদা আবার পেশায় চিকিৎসক। জানা দিয়েছে, গত ২৩ ফ্রেরুয়ারি আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দিতে মিশরে যান পৃথ্বীরাজ। প্রায় একমাস বিদেশে ছিলেন তিনি। রায়গঞ্জে ফেরেন মঙ্গলবার। কিন্তু বাড়িতে যাননি ওই অধ্যাপক, উঠেছিলেন উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের কাছে একটি হোটেলে। ঘর ভাড়া নেওয়ার সময়ে রেজিস্ট্রারে বীরনগরের বাড়ির ঠিকানাই লিখেছিলেন পৃথ্বীরাজ। আর তাতেই সন্দেহ হয় হোটেলের মালিক ও কর্মীদের। কী ব্যাপার? খোঁজ খবর করতে ওই অধ্যাপকের মিশরে যাওয়ার বিষয়টি জানা যায়। বৃহস্পতিবার তাঁকে হোটেল ছেড়ে যেতে বলেন কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ইটালি থেকে কি করোনা নিয়ে ফিরলেন, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি চুঁচুড়ার যুবক
এদিকে এই ঘটনা পর পৃথ্বীরাজ ঝাঁ উধাও হয়ে যান বলে অভিযোগ। করোনায় আক্রান্ত নন তো? রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। হোটেলটি শোধন করার কাজও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু কোথায় গেলেন অধ্যাপক? উত্তর দিনাজপুরের ডেপুটি সিএমএইচ দেবাশিষ মণ্ডল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তাঁর কাছে দিয়েছিলেন পৃথ্বীরাজ। সন্দেহজনক কোনও উপসর্গ ছিল না, তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেল্প আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত যা খবর, পরিবারের লোককে অন্য়ত্র পাঠিয়ে দিয়ে রায়গঞ্জের বাড়িতেই সেল্ফ আইসোলেশনে রয়েছেন অধ্যাপক পৃথ্বীরাজ ঝাঁ। কিন্তু উচ্চশিক্ষিত হয়েও বিদেশ থেকে ফিরে কেন নিয়মমাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালেন না? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।