লকডাউনে দুর্ভোগ চরমে। কার্যত অনাহারে দিন কাটছে ভিনরাজ্যে। বাড়ি ফিরতে না পেরে এবার আত্মহত্যার হুমকি দিলেন পূর্ব বর্ধমানের একদল পরিয়াযী শ্রমিক। প্রশাসনের তরফে কোনও সাহায্য মিলছে না বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: রেশন নিয়ে ক্রমশই রাজনৈতিক সুর চড়ছে রাজ্যে, বিজেপির লকেটকে নিশানা তৃণমূলের
কেউ পেশায় রাজমিস্ত্রি, তো কেউ আবার সেলাইয়ের কাজ করেন। পেটের দায়ে ভিনরাজ্যে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন বর্ধমানের একদল পরিযায়ী শ্রমিক। লকডাউনের জেরে গুজরাতের সুরাতে আটকে পড়েছেন সকলেই। শ্রমিকরা আবার একা নন, তাঁদের সঙ্গে রয়েছে পরিবারের লোকেরা, এমনকী শিশুরাও। বাড়ি কি আদৌ ফিরতে পারবেন? বিধায়ক ও সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। অন্তত তেমনই অভিযোগ ভিনরাজ্যের কর্মরত শ্রমিকদের। সুরাট থেকে ভিডিও বার্তায় তাঁরা জানিয়েছেন, ' আমরা যাঁদের কাছে কাজ করেছি, তাঁরা টাকা-পয়সা দেননি। আমাদের যা টাকা-পয়সা ছিল, তাও শেষ হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে রান্না করার মতো সরঞ্জাম নেই। বাচ্চাদের দুধও পাওয়া যাচ্ছে না।' শ্রমিকদের দাবি, বর্ধমানে যে এলাকায় তাঁদের বাড়ি, সেখানকার সাংসদ ও বিধায়করা সরকারি ত্রাণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনওরকম সাহায্যই মেলেনি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, রাজ্য সরকার কিংবা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা না করেন, সেক্ষেত্রে আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা।
আরও পড়ুন: করোনা ঠেকাতে শুরু থার্মাল স্ক্রিনিং, 'গান' হাতে তুলে নিলেন খোদ বিধায়কই
আরও পড়ুন: শালবনীতে জিন্দাল কারখানায় বাইরের লরি কেন, সংক্রমণের আশঙ্কায় গেট ঘেরাও গ্রামবাসীদের
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তো বটেই, ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়েছেন অনেকেই। লকডাউনে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন পরিয়াযী শ্রমিকরা। এভাবে কতদিনই বা চলবে? বিহার, ঝাড়খন্ড থেকে সাইকেল চালিয়ে, এমনকী, পায়ে হেঁটেও বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। দিন কয়েক আগে আবার হুগলির শেওড়াফুলি থেকে হাঁটাপথে মুর্শিদাবাদের সালারে ফিরতে গিয়ে মাঝপথে ক্নান্তিতে লুটিয়ে পড়ে একদল শ্রমিকরা। তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশ।