কন্টেনমেন্টন জোনের ব্যারিকেড 'খুললেন' বিদায়ী কাউন্সিলর, আতঙ্ক ছড়াল শহরে

  • করোনা আতঙ্কের মাঝে নয়া বিপত্তি
  • 'সরিয়ে ফেলা হল' কন্টেনমেন্ট জোনের ব্যারিকেড 
  • অভিযোগের তির বিদায়ী কাউন্সিলরের দিকে
  • আতঙ্ক ছড়াল বর্ধমানের কাটোয়ায়
     

Asianet News Bangla | Published : Aug 7, 2020 8:00 AM IST / Updated: Aug 07 2020, 02:32 PM IST

পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান: সর্ষের মধ্যেই ভূত! বিদায়ী কাউন্সিলর তথা ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের বিরুদ্ধে কন্টেনমেন্ট জোনের ব্যারিকেড খুলে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর অভিযোগ করলেন খোদ পুরসভা প্রশাসক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানের কাটোয়া শহরে। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: করোনা কাড়ল প্রাণ, প্রয়াত পানিহাটী পৌরসভার প্রশাসক

খাতা-কলমে পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ। করোনা সংক্রমণের কারণে আপাতত স্থগিত নির্বাচন। কলকাতা-সহ রাজ্যে সমস্ত পুরসভাতেই প্রশাসক বসিয়েছে সরকার। এলাকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিদায়ী কাউন্সিলরদেরই।  ব্য়তিক্রম নয় পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া পুরসভাও।

শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের ছিলেন তৃণমূলের শ্যামল ঠাকুর। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া পর, এখন ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। ৩ অগাস্ট স্থানীয় হসপিটাল পাড়া এলাকায় একটি আবাসনের বাসিন্দার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর যথারীতি ওই আবাসন ও লাগোয়া এলাকাটিকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করে প্রশাসন। এলাকাটি বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরেও ফেলা হয়। কিন্তু ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর শ্যামল ঠাকুর নিজেই আবাসনের প্রবেশ পথে ব্যারিকেডটি খুলে দিয়েছেন! বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন খোদ কাটোয়া পুরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আরও অভিযোগ, করোনা প্রতিহত তো দুর. উল্টে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের কার্যকলাপে এলাকায় ছড়াচ্ছে সংক্রমণ।

আরও পড়ুন: কোভিড আক্রান্তদের বিনামূল্যের সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা, জানুন হেল্পলাইন নম্বর

কী বলছেন অভিযুক্ত শ্যামল ঠাকুর? কাটোয়া শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটরের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন পুরসভার প্রশাসক। একই দলে লোক হলেও মিথ্যা কথা বলাই তাঁর স্বভাব। ঘটনায় শোরগোল পড়ে দিয়েছে শহরে।  

Share this article
click me!