সাধারণতন্ত্র দিবসে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের মিছিল আটকাল পুলিশ। বর্ধমানে মিছিল আটকাতেই রাস্তায় বসে পড়েন এবিভিপি-র সমর্থকরা। পরে রাস্তা আটকানোর অভিযোগে বিদ্যার্থীদের আটক করে পুলিশ।
এবিভিপির অভিযোগ, আগে থেকেই সাধারণতন্ত্র দিবস পালনের অনুমতি নেওয়া ছিল পুলিশের থেকে। মিছিলের প্রথম থেকেই জাতীয় পতাকা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল সংগঠনের কর্মী সমর্থকরা। মাঝে কিছু সংগঠনের পতাকা ছিল। এদিন সকালে কর্মসূচি অনুযায়ী বর্ধমানের মেহেদিবাগান থেকে এবিভিপির সমর্থকরা একটি মিছিল করে। স্টেশনের কাছে আসতেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। তখনই পুলিশের সঙ্গে ক্ষুদ্ধ মিছিলকারীরাদের বচসা বাধে। পরে জিটি রোডের উপর বসে পড়ে মিছিলকারীরা।
যদিও সাধারণতন্ত্র দিবসে মিছিলের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেকারণেই মিছিল আটকানো হয়েছে, যদিও এবিভিপি-র সমর্থকেরা সেই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে জানায়, অনুমতি নিয়েই তারা এই কার্যক্রম করছিল। পুলিশ ১৫ সমর্থককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাজ্য়ের সাম্প্রতিক অতীত বলছে, সিএএ-র সমর্থনে মিছিল করতে গিয়ে বার বার বাধা পেয়েছে গেরুয়া ব্রিগেড। বিজেপির অভিযোগ, বেশিরভাগ জায়গায় তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপির মিছিলে হামলা করেছে। অন্যথায় মিছিল আটকে দিয়েছে খোদ পুলিশ।
শনিবার হালি শহরে এমনই একটি ঘটনা ঘটে। বিজেপির অভিযোগ, বীজপুরের বিধায়ক তথা মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের ওপর হামলা চালায় তৃণমূলের লোকজন। এ বষয়ে পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সিএএ নিয়ে প্রচারের কথা বলা হলে,২৭ তরিখের পর অনুমতি দেওয়ার বিষয়টা ভেবে দেখবেন বলে জানান স্থানীয় থানার আধিকারিক।