
গয়না, সম্পত্তির দলিল, উইল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র সংরক্ষণের জন্য ব্যাঙ্কের লকার প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ব্যাঙ্ক আমাদের টাকা নিরাপদে রাখা থেকে শুরু করে একাধিক মূল্যবান জিনিসপত্র রাখার জন্য এটি একটি নিরাপদ ঠিকানা।
তবে লকারের জন্য আবেদন করার আগে, ভাড়া, সুরক্ষা ব্যবস্থা, আরবিআই-এর নিয়ম এবং আপনার দায়িত্ব সম্পর্কে জেনে নেওয়াও জরুরি। লকার ভাড়া মূলত, আকার এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে। গ্রামীণ বা আধা-শহরাঞ্চলে ছোট লকারের বার্ষিক ভাড়া প্রায় ১,০০০ টাকা। তবে শহরে বড় লকারের ভাড়া জিএসটি ছাড়া বছরে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
তবে সেই ব্যাঙ্কে আপনার সেভিংস অথবা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। অনেকক্ষেত্রে লকার বরাদ্দ করার আগে, ব্যাঙ্ক আপনার কাছে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স বজায় রাখতে বা একটি নির্দিষ্ট আমানত খুলতে বলতে পারে। ব্যাঙ্ক লকারগুলি উচ্চ-সুরক্ষিত ভল্টে থাকে, যেখানে ২৪x৭ সিসিটিভি নজরদারি, সতর্কতা এবং নিরাপত্তারক্ষী থাকে। প্রবেশাধিকারের জন্য দুটি চাবি প্রয়োজন। একটি থাকে উক্ত ব্যাঙ্কের কাছে এবং অন্যটি থাকে গ্রাহকের কাছে।
তবে আগুন লাগলে বা কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মূল্যবান জিনিসপত্র ক্ষতি হলে, আপনাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। তাই আপনার জিনিসপত্রের অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য ব্যক্তিগত বীমা করিয়ে নেওয়া ভালো।
প্রত্যেক গ্রাহককে ব্যাঙ্কের সঙ্গে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে। যেখানে পারস্পরিক অধিকার এবং দায়িত্ব স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা থাকবে। নিয়মানুযায়ী, আপনি যদি পাঁচ বছর ধরে আপনার লকার অ্যাক্সেস না করেন, সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক একটি নোটিশ পাঠাতে পারে।
লকার ভেঙে তার মধ্যে থাকা জিনিসপত্র নিলাম করে বা বকেয়া আদায় করার অধিকার সেই ব্যাঙ্কের রয়েছে। লকারে টাকা বা অবৈধ জিনিসপত্র রাখা আরবিআই-এর নিয়ম অনুযায়ী কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
বেশিরভাগ ব্যাঙ্ক এক বছরে ১২ বার বিনামূল্যে লকার অ্যাক্সেস করার সুবিধা দেয়। অতিরিক্ত অ্যাক্সেসের জন্য প্রায় ১০০ টাকা এবং জিএসটি খরচ হয়। আপনার লকারের চাবি হারিয়ে গেলে, আপনাকে একটি নতুন চাবির জন্য আলাদা টাকা দিতে হবে অথবা লকার ভাঙার খরচও বহন করতে হতে পারে।
ব্যাঙ্কের ত্রুটির কারণে কিংবা চুরি, জালিয়াতি বা আগুন লাগলে, ব্যাঙ্ক বার্ষিক লকার ভাড়ার ১০০ গুণ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেবে। তাই, আপনার মূল্যবান জিনিসপত্রের জন্য আলাদাভাবে বীমা করানো সর্বদা একটি বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।