জিএসটি কাউন্সিলের সভায় ৯৯% পণ্য ৫% স্ল্যাবে এবং ৯০% পণ্য ১৮% স্ল্যাবে আনার প্রস্তাব বিবেচনাধীন। এর ফলে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, পোশাক, ইলেকট্রনিক্স সহ অনেক পণ্যের দাম কমতে পারে।
বর্তমানে জিএসটি ব্যবস্থায় চারটি স্ল্যাব রয়েছে, তবে কাউন্সিল এই কাঠামোটি সরলীকরণের কথা বিবেচনা করছে। জিএসটি কাউন্সিলের দুই দিনের সভা ৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে। এই সভাটি নির্ধারিত সময়ের আগেই ডাকা হয়েছে এবং জিএসটি সংস্কারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রস্তাব করা হচ্ছে যে প্রায় ৯৯% পণ্য, যা বর্তমানে ১২% স্ল্যাবে রয়েছে, ৫% স্ল্যাবে স্থানান্তরিত করা উচিত।
25
এ ছাড়া, প্রায় ৯০% পণ্য, যা বর্তমানে ২৮% জিএসটি স্ল্যাবে অন্তর্ভুক্ত, ১৮% স্ল্যাবে আনার কথা বিবেচনা করা হবে। লাল কেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার কথা মাথায় রেখে সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কী কী জিনিস দামি হবে
তবে, যদি রিপোর্ট বিশ্বাস করা হয়, জিএসটি স্ল্যাবে থাকা পণ্য পরিবর্তনের পরে কিছু জিনিস খুব দামি হয়ে যাবে। অর্থাৎ, সরকার ঐসব জিনিসের উপর কর আরও বাড়াবে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যালকোহল এবং বিলাসবহুল জিনিসের মতো ক্ষতিকারক জিনিসপত্র।
35
কী কী জিনিস সস্তা হবে:
যদি জিএসটি কাউন্সিল তাদের সভায় ১২% এবং ২৮% স্ল্যাব সরিয়ে দেয় এবং সেই জিনিসগুলিকে ৫% এবং ১৮% স্ল্যাবে আনা হয়, তাহলে এই জিনিসগুলির দাম কমতে পারে:
স্পষ্টতই, এর সরাসরি সুবিধা ভোক্তাদের সস্তা দামের আকারে দেওয়া হবে এবং শিল্পটি বিক্রয় বৃদ্ধির সুযোগও পাবে। এটি দেশীয় শিল্পকে উৎসাহিত করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। যদি দেশীয় স্তরে ভোগকে উৎসাহিত করা হয়, তাহলে উৎপাদন থেকে কর্মসংস্থান পর্যন্ত এর সরাসরি প্রভাব দেখা যাবে। এই কারণেই আমেরিকাও বাণিজ্য শুল্ক উত্তেজনার মধ্যে তার শিল্পগুলিকে বাঁচাতে এই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।