- Home
- Business News
- Other Business
- ট্রাম্পের নতুন লক্ষ্য ওষুধের উপর শুল্ক! যা কিছু ওষুধের দাম ২০০% পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে
ট্রাম্পের নতুন লক্ষ্য ওষুধের উপর শুল্ক! যা কিছু ওষুধের দাম ২০০% পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওষুধ কোম্পানিগুলিকে লক্ষ্য করে নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন, যা কিছু ওষুধের দাম ২০০% পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। এই পদক্ষেপের ফলে ওষুধের ঘাটতি এবং দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ওষুধের উপর শুল্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যা আমেরিকানদের জন্য একটি নিত্য সমস্যা হয়ে উঠছে। একদিকে, মার্কিন আদালত শুল্ককে অবৈধ ঘোষণা করেছে, অন্যদিকে, ট্রাম্প তার পদক্ষেপ থেকে পিছু হটতে প্রস্তুত নন। এখন ওষুধ কোম্পানিগুলি তার লক্ষ্যবস্তুতে এসেছে।
আমেরিকান জনগণ কেন চিন্তিত?
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে একদিকে ওষুধের উপর ভারী শুল্ক আরোপের ফলে সরবরাহ শৃঙ্খল প্রভাবিত হবে, অন্যদিকে ওষুধের ঘাটতির ঝুঁকি বাড়বে। ট্রাম্প প্রশাসন তাদের পদক্ষেপকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য ১৯৬২ সালের বাণিজ্য সম্প্রসারণ আইনের ২৩২ ধারা ব্যবহার করছে। যুক্তি দেওয়া হচ্ছে যে, ওষুধের ঘাটতি এড়াতে অভ্যন্তরীণ স্তরে উৎপাদন বাড়ানো জরুরি, যাতে কোভিড-১৯-এর মতো পরিস্থিতি আবার না ঘটে।
সংবাদ সংস্থা এপি অনুসারে, ট্রাম্প প্রশাসন আমদানিকৃত ওষুধের উপর ভারী শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিছু ওষুধের উপর এই হার ২০০ শতাংশ পর্যন্ত হবে। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প অটো এবং স্টিলের পরে ওষুধ খাতে পৌঁছানোর জন্য শুল্কের পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে সেইসব ওষুধের উপর যেগুলির উপর এখনও পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়নি। অর্থাৎ, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ আমেরিকান জনগণ প্রভাবিত হতে পারে।
সাম্প্রতিক মার্কিন-ইউরোপ বাণিজ্য সিদ্ধান্তে, ওষুধ সহ কিছু ইউরোপীয় পণ্যের উপর ১৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও, ট্রাম্প প্রশাসন আরও শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর তাৎক্ষণিক প্রভাব কী হবে?
হোয়াইট হাউস পরামর্শ দিয়েছে যে উচ্চ শুল্ক বাস্তবায়নের জন্য প্রায় দেড় বছর সময় দেওয়া উচিত। অনেক কোম্পানি ইতিমধ্যেই আমদানি বাড়িয়েছে এবং ওষুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। জেফরিস বিশ্লেষক ডেভিড উইন্ডলি সতর্ক করে বলেছেন যে এই সিদ্ধান্ত ২০২৬ বা ২০২৭ সালের আগে বাস্তবায়ন করা যাবে না। স্বল্পমেয়াদী প্রভাব হবে ওষুধের ঘাটতি বাড়বে। অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে খরচ এবং সরবরাহের উপর।

