ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট দ্রুত ওঠানামার সম্মুখীন হয়, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা কয়েকদিন বা এমনকি কয়েক ঘন্টার মধ্যে উল্লেখযোগ্য লাভ এবং ক্ষতি উভয়ই করতে পারেন। গত কয়েকদিন ধরে ক্রিপ্টো মার্কেট নাটকীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পরিসংখ্যান দেখায় যে গত ৩০ দিনে ক্রিপ্টো মার্কেট প্রায় ১৪ শতাংশ কমেছে।
বিশ্বের বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনও ক্রমাগতভাবে হ্রাস পাচ্ছে। গত ৩০ দিনে বিটকয়েন প্রায় ২৩ শতাংশ কমেছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আসুন এই পতনের কারণগুলি অনুসন্ধান করি।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রিপ্টো মার্কেটের পতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করছেন। এক মাসে বিটকয়েন ফিউচার প্রায় ২৪ শতাংশ কমেছে, যেখানে সোনার ফিউচার প্রায় ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি বিনিয়োগকারীদের সোনা এবং অন্যান্য বিনিয়োগ বিকল্পের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এছাড়া সাম্প্রতিক দিনগুলিতে বৃহৎ এবং প্রতিষ্ঠিত ক্রিপ্টো বিনিয়োগকারীরা প্রচুর পরিমাণে বিক্রি করেছেন। এর ফলে ক্রিপ্টো মার্কেট লাল হয়ে উঠেছে। মার্কিন ফেডের সুদের হার কমানোর বিষয়ে মুনাফা বুকিং এবং অনিশ্চয়তাও এই পতনের কারণ হতে পারে।
কয়েন মার্কেটক্যাপ অনুসারে, বিটকয়েন $86,914.44 এ লেনদেন হচ্ছে। বিটকয়েন আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১ শতাংশ বেড়েছে। ইথেরিয়ামের দাম প্রায় ১ শতাংশ কমেছে এবং $2,799.57 এ লেনদেন হচ্ছে। টেথার এবং সোলানা ক্রিপ্টোকারেন্সিও সামান্য পতনের সম্মুখীন হচ্ছে।
দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এশিয়ানেট নিউজ বাংলা বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করে না। এই প্রতিবেদন কেবলমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য দেওয়া। বাজারে বিনিয়োগ করতে হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।