সোনার দাম সম্প্রতি রেকর্ড স্পর্শ করলেও, বিশেষজ্ঞরা আগামী দুই মাসে ১২% থেকে ১৫% দাম কমার সম্ভাবনা দেখছেন। এর পেছনে আন্তর্জাতিক কারণ, যেমন মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর অনিশ্চয়তা, প্রভাব ফেলছে।
সম্প্রতি, সোনা প্রতি ১০ গ্রামে ৯৯০০০ টাকা ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়েছে। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, ডলারের দুর্বলতা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির ক্রয়ের মতো কারণে এই বৃদ্ধি ঘটেছে।
212
তবে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে, এর দামে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে, এই মুহূর্তে এই পতন সামান্য এবং সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এটি স্বস্তিদায়ক নয়।
312
ভারতে ঐতিহ্যগতভাবে সোনাকে কেবল গহনা হিসেবেই নয়, নিরাপদ বিনিয়োগের বিকল্প হিসেবেও দেখা হয়।
গত কয়েক বছরে সোনার দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এটিকে বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি লাভজনক সম্পদে পরিণত করেছে।
512
বিশেষ করে গত এক বছরে, সোনার দাম রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার কারণে এটি সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে বলে মনে হচ্ছে।
612
সবচেয়ে বড় পতন আসতে পারে
তবে এখন যারা সোনা কিনতে চান বা বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য একটি স্বস্তির খবর এসেছে।
712
বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে আগামী দুই মাসে সোনার দাম ১২% থেকে ১৫% পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। যদি এমনটি ঘটে, তাহলে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৬৮,০০০ টাকা বা তারও নিচে নেমে আসতে পারে।
812
বিনিয়োগকারীদের কী করা উচিত?
বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পতন স্বল্পমেয়াদী হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সোনা এখনও একটি শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে রয়ে গেছে।
912
যারা উচ্চ স্তরে বিনিয়োগ করেছেন তাদের আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। অন্যদিকে, যারা বিনিয়োগের কথা ভাবছেন, তাদের জন্য পতনের পরে কেনার জন্য এটি একটি ভাল সুযোগ হতে পারে।
1012
এই পতনের কারণ কী?
এই সম্ভাব্য পতনের পিছনে অনেক বিশ্বব্যাপী কারণ রয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক সুদের হার কমানোর অনিশ্চয়তা।
1112
যদি ফেড সুদের হার না কমায়, তাহলে ডলার শক্তিশালী থাকবে এবং এর সরাসরি প্রভাব সোনার দামের উপর পড়বে।
1212
এ ছাড়া আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির হার এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক তথ্যও সোনার উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।