নোটবন্দির পর থেকেই ডিজিটাল লেনদেনের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বর্তমানে ছোটখাট জিনিস হোক বা বড় জিনিস কেটাকাটি সবেই ব্যবহার করা হয় ইউপিআই।
একদম বিনামূল্য ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তেমনই আশঙ্কা জাহিয়ে তুলল দুই ইউপিআই (UPI)জায়েন্ট গুগল পে আর ফোনপে (Google Pay and PhonePay)। কারণ ইতিমধ্যেই দুই ফিনটেক সংস্থা সরকারের কাছে ইউপিআই-এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো জন্য চার্জ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। এখন সরকার কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।
নোটবন্দির পর থেকেই ডিজিটাল লেনদেনের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বর্তমানে ছোটখাট জিনিস হোক বা বড় জিনিস কেটাকাটি সবেই ব্যবহার করা হয় ইউপিআই। পাশাপাশি যে কোনও পেমেন্টের জন্যও ব্যবহার করা হয় ইউপিআই। কিন্তু এটি ব্যবহারের জন্য কোনও চার্জ এখনও পর্যন্ত করা হয় না। পাশাপাশি অনেক সময় গুগল পে বা ফোনপে -র জন্য মাঝে মাঝে গ্রাহকরা কিছু কিছু টিপসও পেয়ে যান। কিন্তু বর্তমানে ইউপিআই এর মাধ্যমে টাকা লেনদেনের জন্য ফি নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে দুই সংস্থা।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিনটেক কোম্পানিহুলি রাজস্ব নিয়ে চিন্তিত। আর সেই কারণেই ইউপিআই-এর মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য চার্জ নিতে চাইছে। ফিনটেক কোম্পানিগুলির দাবি জিরো এমডিআর তাদের ব্যবসায়িক মডেলকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সংস্থাগুলির এনপিসিআই-এর সঙ্গেও এই বিষয়ে আলোচনা করছে। যদিও গত বছরই সংস্থাগুলি ইউপিআই-এর ওপর চার্জ বসানোর সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত নিতে রাজি হয়নি। বর্তমানে , গুগল পে ও ফোনপের হাতেই ইউপিআই বাজাপেপ ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ফলে দুই সংস্থার চাপা অস্বীকার করটা কিছুটা হলেও কঠিন কেন্দ্র সরকারের কাছে।
প্রধানমন্ত্রী নরন্দ্র মোদী ডিজিটাল ভারতের ওপর জোর দিয়েছেন। তাই তার সরকারের আমলে ইউপিআইএর গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু যদি সত্যি ইউপিআই পেমেন্টের ওপর চার্জ নেওয়া হয় তাহলে ৭০ শতাংশ মানুষই ক্যাশ ব্যবহারের দিকে ফিরে যাবেন। তাতে ভেস্তে যেতে পারে মোদী ডিজিটাল ভারতের স্বপ্ন। তাই চার্জ বসানো হলেই ইউপিআই গ্রাহক সংস্থাগুলি হারিয়ে ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।