
এলআইসি জীবন অক্ষয় বিমা অত্যন্ত সুবিধাজনক। যাঁরা কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর ভালোভাবে জীবন কাটাতে চাইছেন, তাঁরা এই পলিসি বেছে নিতে পারেন।
এলআইসি জীবন অক্ষয় বিমার মাধ্যমে কর্মজীবন থেকে অবসর-পরবর্তী জীবনে টাকার জোগান অব্যাহত থাকে।
এলআইসি জীবন অক্ষয় বিমায় বেশ কয়েকটি বিকল্প বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। একবার প্রিমিয়াম দিলেই চলে, এমন পলিসিও রয়েছে।
কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর যাতে আর্থিক সমস্যা না হয়, তার জন্যই প্রতি মাসে টাকা পাওয়া যাবে, এমন এলআইসি পলিসি বেছে নেওয়া যেতে পারে।
এলআইসি জীবন অক্ষয় ৭ প্ল্যানে অর্থ বিনিয়োগ করলে আয়কর আইন, ১৯৬১-এর ধারা ৮০ সিসিসি-এর অধীনে ছাড় পাওয়া যায়।
একক প্রিমিয়াম অ্যানুইটি প্ল্যান: এলআইসি জীবন অক্ষয় ৭ হল একটি একক প্রিমিয়াম প্ল্যান যেখানে পলিসিধারীদের একবার পর্যাপ্ত প্রিমিয়াম দিতে হবে।
ফ্লেক্সিবিলিটি: পলিসিধারীরা সিঙ্গেল লাইফ অ্যানুইটি এবং জয়েন্ট লাইফ অ্যানুইটির মধ্যে বেছে নিতে পারেন।
অনলাইন এবং অফলাইন : পলিসিধারকের সুবিধার্থে প্ল্যানটি অনলাইন এবং অফলাইনে কেনা যাবে।
এলআইসি জীবন অক্ষয় প্ল্যানে বিনিয়োগ করতে হলে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে এবং বয়স অন্তত ২৫ বছর হতে হবে। সর্বাধিক বয়স ৮৫ বছর। তাহলেই বিনিয়োগ করা যাবে।
কোনও এলআইসি এজেন্টের মাধ্যমে জীবন অক্ষয় প্ল্যানে বিনিয়োগ করলে একবার এক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা যায়। অনলাইনে বিনিয়োগ করলে দেড় লক্ষ টাকা দিতে হয়।
যত কম বয়সে এলআইসি জীবন অক্ষয় পলিসিতে বিনিয়োগ করা যায়, ভবিষ্যতের জন্য ততই ভালো। ৩০ বছর বয়সের মধ্যে বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে বেশি অর্থ পাওয়া যায়।
এলআইসি জীবন অক্ষয় পলিসিতে প্রতি মাসে, তিন মাস অন্তর, ৬ মাস অন্তর বা প্রতি বছরে একবার পেনশন পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। যে কোনও একটি বেছে নেওয়া যায়।
এলআইসি জীবন অক্ষয় ৭ প্ল্যানে বিনিয়োগের জন্য বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবে আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ড বা স্কুলের শংসাপত্র দরকার। আয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, আয়কর রিটার্ন, বেতন স্লিপ, পেনশন পাসবুক বা ১৬ নং ফর্ম দরকার। ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে পাসপোর্ট, ব্যাঙ্কের পাসবুক, রেশন কার্ড, ভোটার আইডি, বিদ্যুৎ বিল, রান্নার গ্যাসের বিল, টেলিফোন বিল, ক্রেডিট কার্ড বিল, ভাড়া চুক্তি, মোবাইল পোস্টপেইড বিল বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দরকার। ফটো আইডি প্রুফ হিসেবে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, ভোটার আইডি, রেশন কার্ড বা ব্যাঙ্ক পাসবুক প্রপোজারের ছবি দেওয়া যায়।