রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলেছে, জরিমানাকে পেনাল্টি চার্জের মতো বিবেচনা করা উচিত। ঋণদাতাদের এটিকে শাস্তিমূলক সুদের আয় হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়। ঋণ চুক্তির সময় গ্রাহকদের সুদের হার, পেনাল্টি চার্জ এবং সমস্ত শর্ত সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া একটি খসড়া নিয়ম জারি করেছে যে ব্যাঙ্কগুলি ঋণ খেলাপির জন্য জরিমানা আরোপ করেছে। এই খসড়ায়, আরবিআই স্পষ্টভাবে বলেছে যে পেনাল্টি কোনও ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আয়ের উৎস হতে পারে না। যদি কোনও ঋণদাতা জরিমানার ওপর সুদ নেয়, তাহলে তা ভুল। ঋণদাতাদের এটি করা উচিত নয়।
জরিমানা আয়ের উৎস নয়
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলেছে, জরিমানাকে পেনাল্টি চার্জের মতো বিবেচনা করা উচিত। ঋণদাতাদের এটিকে শাস্তিমূলক সুদের আয় হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়। যদি খুচরা ঋণগ্রহীতা হয় তাহলে তার জন্য জরিমানা খুবই কম হওয়া উচিত। ব্যাঙ্ক যদি কোনও ধরনের জরিমানা নেয়, তাহলে ঋণ চুক্তির সময় গ্রাহকদের সুদের হার, পেনাল্টি চার্জ এবং সমস্ত শর্ত সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে।
জরিমানা নীতিতে বোর্ডের সম্মতি প্রয়োজন
কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য জরিমানা সংক্রান্ত নীতি কী, বোর্ডের সম্মতি ও অনুমোদন প্রয়োজন। ঋণদাতাদের তাদের ওয়েবসাইটে সম্পূর্ণ তথ্য শেয়ার করা উচিত। ঋণ পরিশোধের জন্য গ্রাহককে রিমাইন্ডার মেইল পাঠানো হলে জরিমানা সংক্রান্ত তথ্যও পাওয়া উচিত।
১৫ মে এর মধ্যে খসড়ায় প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছে
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১৫ মে এর মধ্যে খসড়া নিয়মের বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছে। এই নিয়ম বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক, সমবায়, নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, হাউজিং কোম্পানি, NABARD, Exim Bank, NHB, SIDBI এবং NaBFID-এর মতো সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই নিয়ম ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।