বেশ কয়েক মাস ধরেই দেশের শেয়ার বাজারে লাগাতার পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এদিকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে নিফটি এবং সেনসেক্স সর্বোচ্চ পয়েন্টে উঠে গেছিল। কিন্তু তারপর থেকেই ক্রমশ তা কমেতে শুরু করে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে নিফটি কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে, সেনসেক্সের অবস্থাও অনেকটা একইরকম।
শুক্রবার, বাজার বন্ধের সময় নিফটি নেমে গেছিল ২৩ হাজারের নিচে। সেনসেক্স প্রায় ৭৬ হাজারের নিচে। স্টক মার্কেটের এই বেসামাল পরিস্থিতির জন্য বিভিন্ন সময় একাধিক কারণ উঠে এসেছে। তবে তার মধ্যে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।
ঠিক তেমনই বিদেশি লগ্নিকারীদের বিনিয়োগও সরিয়ে নেওয়া রয়েছে। সম্প্রতি ট্রাম্পের শুল্ক সংক্রান্ত হুমকির প্রভাব ব্যাপকভাবেই পড়েছে বাজারের উপর। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, লগ্নিকারীদের মধ্যে বিনিয়োগ দিয়ে দোলাচল চরমে উঠেছে।
তাই মার্কেটে এই চাপের সময়ে, বিনিয়োগকারীদের কিছু কৌশল অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন বাজারের বিশেষজ্ঞরা। যা মেনে চললে বাজারের এই কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেদের পোর্টফোলিও ভ্যালু ভালোভাবেই সুরক্ষিত করতে পারবেন লগ্নিকারীরা।
শেয়ার বাজারের পরিস্থিতি খারাপ হলে সমস্ত লগ্নিগুলিকে বিকেন্দ্রীকরণের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ, সমস্ত লগ্নি এক জায়গায় না করার পারমর্শ দিয়েছেন তারা। এমনকি, শেয়ারের সমস্ত টাকা বিনিয়োগ না করে বিভিন্ন অ্যাসেট বেছে নিতে পারেন লগ্নির জন্য।
সরকারি বন্ড হোক কিংবা সোনা-রুপোর মতো কোনও দামি ধাতুতেও লগ্নি করতে পারেন চাইলে। ডাউন মার্কেট পরিস্থিতিতেও শেয়ার বাজারে লগ্নির কথা ভাবলে লার্জ ক্যাপ স্টকে নজর রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে কমদামের লার্জ ক্যাপ স্টক বেছে নিতে পারেন লগ্নি করার জন্য।
অন্যদিকে, বাজারে পরিস্থিতি খারাপ থাকলে ফাটকাবাজির পথে কিন্তু একেবারেই হাঁটবেন না। যে কোনও স্টকেই লগ্নির আগে ভালো করে কোম্পানির প্রফিট গ্রোথ চেক করে নেবেন। সংস্থার ভ্যালুয়েশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকলে তবেই লগ্নি করতে বলছেন বিশ্লেষকরা।
সেইসঙ্গে, বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ থাকলে লগ্নি না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা এবং পরিস্থিতি বুঝে লগ্নির পথে হাঁটতে বলছেন তারা সবাই।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।