সুইগি-জোম্যাটোতে খাবার অর্ডার করে কম দামে পাওয়া যায় বলে অনেকেই খুশি হন। আসলে আপনি সরাসরি রেস্তোরাঁর নিজস্ব খাবারের দামের তুলনায় দ্বিগুণ দামে অর্ডার করে থাকেন। এটা আসলে আমাদের কথা নয়। একজন তাঁর অভিজ্ঞতা নিজেই বর্ণনা করেছেন। যেটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরো ভাইরাল হয়ে গেছে।
25
রেস্তোরাঁয় গিয়ে কিনে খেলে সেই বিল দেখাচ্ছে ৮১০ টাকা
কোয়েম্বাটুরের বাসিন্দা সুন্দর নামের একজন তাঁর অনলাইন অর্ডারের স্ক্রিনশট এবং সরাসরি রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাবারের বিলের তুলনা করে একটি পোস্ট করেছেন। সুইগি-জোম্যাটোতে খাবার প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। তিনি সুইগি থেকে পরোটা, চিকেন ৬৫, চিকেন ললিপপ এবং চিকেন বিরিয়ানি অর্ডার করেছিলেন। মোট বিল হয় ১৪৭৩ টাকা। কিন্তু সেই একই খাবার সরাসরি রেস্তোরাঁয় গিয়ে কিনে খেলে ঐ বিল দেখাচ্ছে ৮১০ টাকা। অর্থাৎ, অনলাইনে অর্ডার করলে দ্বিগুণ দাম দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
35
অনলাইনে অর্ডার
সুইগিতে একটি পরোটার দাম ৩৫ টাকা হলে দেখা যাচ্ছে, সেই একই রেস্তোরাঁর মেনু কার্ডে তার দাম ২০ টাকা। চিকেন ৬৫-এর দাম সুইগিতে ২৪০ টাকা হলে, সরাসরি রেস্তোরাঁয় ১৫০ টাকায় পাওয়া যায়। অনেকেই বলছেন, এত বেশি দামে অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপে খাবার বিক্রি হয়ে থাকে? তার ফলে, তাদের দ্বিগুণ আয় হয়ে থাকে। তাই সুইগি-জোম্যাটোর ব্যবসা বেশ ভালোই চলছে।
সুইগি-জোম্যাটোর সঙ্গে যুক্ত রেস্তোরাঁগুলি ওই অ্যাপগুলির থেকে কমিশন পায়
সুন্দরের পোস্টটি অনলাইনে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে। এত বেশি দামে আমরা সুইগি-জোম্যাটোতে অর্ডার করি? নেটিজেনরা তা দেখে রীতিমতো অবাক হচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন, বাড়িতে ডেলিভারি হওয়ায় সুবিধার জন্য বেশি দাম দিতে হবে। ডেলিভারি করার জন্য ১০০ টাকা বেশি নিতে পারে। কিন্তু তাই বলে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা অন্যায় বলে কেউ কেউ দাবি তুলেছেন। সুইগি-জোম্যাটোর সঙ্গে যুক্ত রেস্তোরাঁগুলি ওই অ্যাপগুলির থেকে কমিশন পায়।
55
২৪% থেকে বাড়িয়ে ২৮%
সেই কমিশন ২৪% থেকে বাড়িয়ে ২৮% পর্যন্ত হয়। সেই কমিশনের টাকা ফেরত পেতে গিয়ে রেস্তোরাঁগুলি অনলাইনে রাখা মেনুতে দাম বাড়িয়ে দেয়। সেই বোঝা তারপর গ্রাহকদের উপর এসে পড়ে। তাই ডেলিভারি অ্যাপগুলি কোটি কোটি টাকা আয় করে থাকে। আগে সুইগি এই বিষয়ে স্পষ্ট কথা বলেছিল। অনলাইনে এবং অফলাইনে দাম কত রাখবে, তা রেস্তোরাঁর ইচ্ছা বলে ওই সংস্থাটি জানিয়ে দিয়েছে।