রেল স্টেশনগুলি সংস্কার করা হবে এবং দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্য বন্দে স্লিপার ট্রেন সহ নতুন ট্রেন চালু করা হতে পারে।
এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে রেলওয়ে উন্নয়নের জন্য উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মোট মূলধন বরাদ্দে ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ৩ লক্ষ কোটি টাকায় মূলধন বরাদ্দ বাড়ানোর কথা ভাবছে কেন্দ্র সরকার। চলতি অর্থবর্ষে বরাদ্দকৃত ২.৬৫ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে ২ লক্ষ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই রেল মন্ত্রক ব্যয় করেছে। অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই বরাদ্দকৃত সম্পূর্ণ অর্থ ব্যয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাজেটে অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়ার কথা ভাবছে অর্থ মন্ত্রক।
বাজেটে অগ্রাধিকার পেতে পারে এমন ক্ষেত্রগুলি
আধুনিকীকরণ প্রকল্প: রেল স্টেশনগুলি সংস্কার করা হবে এবং দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্য বন্দে স্লিপার ট্রেন সহ নতুন ট্রেন চালু করা হতে পারে।
অবকাঠামো উন্নয়ন: নতুন রেলপথ স্থাপন, বিদ্যমান লাইনগুলির সংস্কার, রেল নেটওয়ার্কের ভিড় কমানোর মাধ্যমে কর্মক্ষমতা উন্নত করা।
নতুন কোচ: ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনা করে নতুন লোকোমোটিভ, ওয়াগন এবং কোচের জন্য তহবিল বরাদ্দ।
মুম্বাই-আহমেদাবাদ হাই-স্পিড রেল করিডোরের জন্য বাজেটে আরও অর্থ বরাদ্দ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য, ন্যাশনাল হাই-স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডকে ২০২৫ অর্থবর্ষে ২১,০০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রস্তাবও বাজেটে থাকতে পারে। ২০২৫ অর্থবর্ষে প্রস্তাবিত ১০,০০০ কোটি টাকার পিপিপি বিনিয়োগের নব্বই শতাংশ জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে অর্জিত হয়েছিল। ২০২৫ অর্থবর্ষে রেলওয়ে বিদ্যুতায়ন, গেজ রূপান্তর, পথ দ্বিগুণীকরণ সহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ১.২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।