
দেশজুড়ে কৃষকদের জন্য একটি বড় খবর। গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (পিএম কিষাণ) প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল এবং ভুল তথ্যের কারণে কৃষকরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। এখন, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই গুজবের অবসান ঘটিয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে সরকার স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে এই প্রকল্পের আওতায় কারা যোগ্য এবং কাদের নাম সাময়িকভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সরকার জানিয়েছে যে অনেক কৃষক প্রকল্পের নিয়ম অনুসারে আবেদন করেননি। কিছু ব্যক্তি অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও এখনও প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্প থেকে উপকৃত হচ্ছেন। তদন্তে আরও জানা গেছে যে অনেক পরিবারে স্বামী, স্ত্রী বা নাবালক সন্তানরা সুবিধা পাওয়ার জন্য আলাদাভাবে আবেদন করেছিলেন, যদিও পরিবারের কেবলমাত্র একজন সদস্যের সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল। এরপর, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ এর পরে জমি কিনেছেন এমন কৃষকদেরও এই প্রকল্প থেকে সুবিধা পাওয়া উচিত নয়।
সরকার তাদের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানিয়েছে যে, যেসব কৃষকের নাম সুবিধাভোগী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাদের শারীরিক যাচাই করা হবে। এই যাচাইয়ের পর যদি তারা যোগ্য বলে প্রমাণিত হন, তাহলে তাদের নাম আবার তালিকায় যুক্ত করা হবে। তবে, যারা সত্যিকার অর্থে অযোগ্য বলে প্রমাণিত হবেন, তারা আর এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারবেন না।
স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং প্রকৃত কৃষকদের কাছে সুবিধা পৌঁছানো নিশ্চিত করার জন্য এই সরকারি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এটি নিশ্চিত করবে যে প্রতারক বা অযোগ্য ব্যক্তিরা সরকারি তহবিলের অপব্যবহার না করে।
সরকার কৃষকদের নিজেরাই তাদের অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছে। এটি করার জন্য, কৃষকদের PM Kisan ওয়েবসাইট https://pmkisan.gov.in-এ যেতে হবে এবং দুটি বিভাগ পরীক্ষা করতে হবে:
যোগ্যতার অবস্থা: এই বিভাগটি প্রকাশ করবে যে তারা এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য কিনা।
আপনার অবস্থা জানুন (KYS): এই বিভাগে গিয়ে, কৃষকরা পরীক্ষা করতে পারবেন যে তাদের নাম এখনও সুবিধাভোগী তালিকায় আছে কিনা বা বাদ দেওয়া হয়েছে কিনা।
বর্তমানে, কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার ২১তম কিস্তি প্রকাশ করেনি। এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। মনে করা হচ্ছে যে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের (১৪ নভেম্বর) পরে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।