মুরগির মাংসের উত্তরোত্তর মূল্যবৃদ্ধি,মধ্যবিত্তের পাতে কী এবারের প্রোটিনের ঘাটতি

রবিবাসরীয় বাজারে কলকাতা তথা শহরতলিতে মুরগীর মাংসের দাম ছিল মোটামুটি ২৩০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা। কিন্তু কলকাতার কিছু জায়গায় সেই দামের পারদ ছুঁয়ে ফেলেছে ২৫০ টাকা থেকে ২৫৫ টাকায়। সবজি বাজার যেমন অগ্নিমূল্য, তেমনই মুরগির মাংসের (Chiken Price) দাম বৃদ্ধি চাপে ফেলছে মধ্যবিত্তকে। তেরো থেকে তিরাশি সকলেই কম বেশি মুরগির মাংস পছন্দ করে থাকেন। তাই এবার খাবারের পাতেও কী লাগাম টানতে হবে মধ্যবিত্তকে...

Kasturi Kundu | Published : Mar 15, 2022 5:42 AM IST

একদিকে যখন রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে হু হু করে দাম বেড়েছে বিভিন্ন জিনিসের তখন অন্যদিকে মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মুরগির মাংসের দামে (Chiken Price Increase)। লাফিয়ে লাফিয়ে  কলকাতায় (Kolkata) উত্তোরত্তোর বৃদ্ধি পাচ্ছে মুরগির মাংসের দাম (Chiken Price)। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মুরগির মাংসের দামের এই উর্ধ্বমুখী গতির শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ। রবিবাসরীয় বাজারে কলকাতা তথা শহরতলিতে মুরগীর মাংসের দাম ছিল মোটামুটি ২৩০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা। কিন্তু কলকাতার কিছু জায়গায় সেই দামের পারদ ছুঁয়ে ফেলেছে ২৫০ টাকা থেকে ২৫৫ টাকায়। সবজি বাজার যেমন অগ্নিমূল্য, তেমনই মুরগির মাংসের (Chiken Price) দাম বৃদ্ধি চাপে ফেলছে মধ্যবিত্তকে। তেরো থেকে তিরাশি সকলেই কম বেশি মুরগির মাংস পছন্দ করে থাকেন। তাই এবার খাবারের পাতেও কী লাগাম টানতে হবে মধ্যবিত্তকে...

মুরগির মাংস বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি দামে হঠাৎ করেই পরিবর্তন ঘটেছে। আর ঠিক সেই কারনেই স্বাভাবিকভাবেই মুরগির মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু একবারে যে দামের এতটা বাড়বাড়ন্ত তৈরি হবে সেটা কিন্তু খোদ দোকানিরাও বুঝতে পারেন নি। অন্যদিকে এই বিষয় বিশেষজ্ঞরা তাঁদের মত প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, মুরগির দাম বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে মুরগির খাবারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি। প্রসঙ্গত, খামারে খাবার হিসেবে ভূট্টার দানা ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি সেই খাবারের দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার দরুণ অস্বাভাবিকভাবে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, মুরগির মাংস ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন,  বাইরের রাজ্য থেকেও মুরগির খাবার আমদানি করতে হচ্ছে। ফলে তাতে খরচ অনেকটাই বেশি হচ্ছে। যার পরোক্ষ প্রভাব পড়ছে মধ্যবিত্তের পকেট থেকে খাবারের পাতে।  

বলা বাহুল্য, মুরগির মাংসের দাম বাড়লেও চাহিদাতে যে খুব একটা ঘাটতি দেখা যাচ্ছে এমনটা কিন্তু নয়। এই প্রসঙ্গে পোলট্রি ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (Poultry Federation of India) এক আধিকারিক বলেছেন,  দেশজুড়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ঘটায় মুরগির মাংসের চাহিদা বাড়ছে। সেই সঙ্গে এখন চলছে ভরপুর বিয়ের মরশুম। আর বিয়ের মরশুম মানেই মাংসের একটা ব্যাপক চাহিদা। তবে অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে একাধিক ছোট খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাহিদাতে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। এখন পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হওয়ায় বিয়ে বাড়িতেও নিমন্ত্রিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাংসের চাহিদাও। তবে মুরগির মাংসের দাম বৃদ্ধির ফলে নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্তের পাতে মাংসের থেকে প্রোটিন সঞ্চার করত সেখানে ঘাটতি পড়বে কিনা সেটা কিন্তু এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে।  

Share this article
click me!