প্রচুর টাকা আয় করে আবার সেই টাকার সবটাই খরচ করে ফেললে প্রয়োজনের সময় তা নাও মিলতে পারে। তখন পড়তে হতে পারে জটিল সমস্যায়।
জীবনের টাকার প্রয়োজন হয় না এরকম মানুষ বোধহয় হাতে গোনা। আপদে-বিপদে সব কাজেই লাগে টাকা। প্রচুর টাকা আয় (income) করে আবার সেই টাকার সবটাই খরচ (Expenses) করে ফেললে প্রয়োজনের সময় তা নাও মিলতে পারে। তখন পড়তে হতে পারে জটিল সমস্যায়।
নানা শখ-আহলাদ মেটাতে তো বটেই, অন্যান্য প্রয়োজনের কথা চিন্তা করেও বাড়াতে হবে ব্যাঙ্ক ব্যালান্স (increase bank balance)। জেনে নিন কীভাবে বাড়াবেন আপনার ব্যাংক ব্যালান্স।
১. ব্যাঙ্ক ব্যালান্স বাড়ানোর অন্যতম প্রধান রাস্তা হল বিনিয়োগ। তবে না বুঝে যেকোনও খাতে বিনিয়োগ করবেন না। ঝুঁকির বিষয়টি না বুঝে শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ না করাই ভালো। না বুঝে এগোলে হিতে বিপরীতও হতে পারে।
২. প্রতি মাসের আয়, তার থেকে কতটা ব্যয় করবেন আর কতটা সাশ্রয় করবেন তার একটা ছক কষে নিন। ব্যাঙ্ক ব্যালান্স বাড়ানোর ইচ্ছাও যেন আপনার সামর্থের বাইরে না হয়। আয় অনুযায়ী ব্যাঙ্ক ব্যালান্সের টার্গেট ফিক্সড করুন।
৩. প্রথমে খরচ করেন আর তারপর যা পরে থাকে তার থেকে সাশ্রয়ের চেষ্টা করেন? এর অর্থ সাশ্রয়ের চেয়ে খরচেই আপনার ঝোঁক বেশি। আগে সঞ্চয়ের জন্য টাকা সরিয়ে রাখুন। পরে বাকি অংশ প্রয়োজন মতো খরচ করুন।
৪. অন্যকে দেখাতে গিয়ে অহেতুক ভুল খাতে খরচ করবেন না। পাশের বাড়ির লোকটি গাড়ি কিনবেন বলে আপনাকেও কিনতে হবে এমন কিন্তু নয়। সেটাই করুন যেটা আপনার প্রয়োজন বা ইচ্ছা। তাই অনুকরণ করার অভ্যাস থাকলে বাদ দিন।
৫. সাশ্রয় করা প্রয়োজনীয়। তবে শুধু সেভিংয়ে জোর দিলেই চলবে না। ব্যাঙ্ক ব্যালান্স বাড়াতে আয়ও বাড়াতে হবে।আপনার থেকে কম কাজ করেও বেশ কৌশলে অনেকে প্রশংসা আদায় করে নেন বসের। সেরকমই স্মার্ট ওয়ার্ক করা শিখুন।