
হু হু করে বাড়ছে গ্যাসের দাম। অগ্নিমূল্য বাজার হেঁশেলে আগুন মধ্যবিত্তের। তবে রান্নার গ্যাসের দাম অগ্নিমূল্য হলেও এবার গ্রাহকদের জন্য সুখবর। রান্নার গ্যাস নিয়ে বড় ঘোষণা। রান্না করতে করতে গ্যাসের সিলিন্ডার (LPG Gas) ফাঁকা হয়ে গেলেও আর কোনও চিন্তা নেই। এবার বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন গ্যাসের সিলিন্ডার (LPG Cylinder), তাও আবার খুব কম সময়ের মধ্যে। অনেকেই আছেন রান্না করতে করতে বুঝতে পারেন না রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার কখন শেষ হয়ে যাবে। আর রান্না করতে করতে গ্যাসের সিলিন্ডার শেষ হয়ে গেলে তা ভীষণই সমস্যার। এরকম সমস্যার পড়লে কী করবেন আর কী করবেন না তা নিয়েই দিশেহারা হয়ে পড়েন অনেকেই। এবার ইন্ডিয়ান অয়েলের গ্যাস পরিষেবার সাহায্যে এই সুযোগ সহজেই পাওয়া যাবে।
ইন্ডেন গ্যাস ব্যবহারকারীরা এবার বড়সড় সুযোগ পেতে চলেছেন। কারণ ইন্ডেন গ্যাস এবার দারুণ সুবিধা দিতে চলেছে। যারা ইন্ডেন গ্যাস ব্যবহার করেন, তারাই কেবল এই সুবিধাটি পেতে পারেন। কারণ ইন্ডেন গ্যাস দিচ্ছে তৎকাল পরিষেবা। এবার মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যে বাড়িতে পৌঁছে যাবে রান্নার গ্যাস। কথাটা শুনে মুখে হাসি ফুটলেই কীভাবে পাবেন এই পরিষেবা, সেটা সবার আগে জানতে হবে।
আরও পড়ুন-হোলির রং এবার গৃহস্থের হেঁসেলে, হোলি স্পেশাল রান্নার গ্যাসে দারুণ ছাড়
আরও পড়ুন-একলাফে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ল ১০৮ টাকা, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের
আরও পড়ুন-এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়বে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম, মঙ্গলবার থেকেই গুনতে হবে বেশি টাকা
সবার প্রথমে এর জন্য আপনাকে ইন্ডেন গ্যাস পরিষেবার ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। নাম নথিভুক্ত থাকলে খুব সহজেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তৎকাল গ্যাস বুক করতে পারবেন। এবং গ্যাস বুক করার মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবে গ্যাসের সিলিন্ডার। এছাড়া একটি মিসড কল দিয়েও এই তৎকাল পরিষেবা সহজে পেয়ে যেতে পারেন। তখন ৭৭১৮৯৫৫৫৫৫ নম্বরে মিসড কল দিলেই গ্যাস বুকিং হবে না। গ্যাস বুকিং হওয়ার মাত্র ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে সিলিন্ডার বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। তবে গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারির জন্য ২৫ টাকা দিতে হবে। ইতিমধ্যেই হায়দ্রাবাদে এই তৎকাল পরিষেবা চালু হয়ে গেছে। আগামী দিন খুব শীঘ্রই সারা দেশে এই পরিষেবা চালু হতে চলেছে। তবে গ্যাসের দাম যেহারে বেড়ে চলেছে তাতে নাভিশ্বাস হওয়ার অবস্থা সাধারণ মানুষের। বারোটি গ্যাসের জন্য ভর্তুকি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ভর্তুকিবিহীন দামেই গ্যাস সিলিন্ডার কেনেন গাহকরা। পরে ভর্তুকির টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায় গ্রাহকদের। তবে বারোটার বেশি সিলিন্ডারের প্রয়োজন হলে আর কোনও ভর্তুকি পান না গ্রাহকরা। আগামী দিনে যে কোথায় পৌঁছতে চলেছে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মধ্যবিত্তের কপালে।