ব্যঙ্কে টাকা রাখলেও ঠিকমতো সুদ মিলছে না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন পোস্ট অফিসের এই স্কিমে। পোস্ট অফিসের এই যোজনাতে টাকা ইনভেস্ট করা সবচেয়ে ভাল অপশন। পোস্ট অফিসের এই যোজনায় টাকা ইনভেস্ট করলে আপনার টাকা যেমন সুরক্ষিত থাকবে ঠিক তেমনই ভালও রিটার্নও পাওয়া যাবে। পোস্ট অফিসের বেশ অনেকগুলি স্কিম রয়েছে, যেগুলিতে বিনিয়োগ করলে কোটিপতি হতে পারেন। পোস্ট অফিসের যে প্ল্যানগুলি রয়েছে তার বেশিরভাগগুলিতেই কোটিপতি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে কোথায়ও বিনিয়োগ করাও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। যেখানেই বিনিয়োগ করবেন সেখানেই কোনও না কোনও সমস্যা। ইনভেস্ট করলেই হল না কোথা থেকে মিলবে মোটা টাকা রোজগারের সুবিধা, তার জন্যই খুব ভেবে চিন্তে ইনভেস্ট করতে হবে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে পোস্ট অফিসের এই বিশেষ কিছু স্কিম। পোস্ট অফিসের বেশ কিছু স্কিম রয়েছে, যেখানে বিনিয়োগ করলেই আপনিও হতে পারেন কোটিপতি।
পোস্ট অফিসের যে স্কিমগুলির কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ), রেকারিং ডিপোজিট-এর মতো স্কিমগুলিও। পিপিএফ-এ বিনিয়োগকারীরা বছরে সবথেকে বেশি দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত জমা করতে পারবেন। এবং মাসে ১২ হাজার ৫০০ টাকা জমাতে পারবেন। এই স্কিমে ম্যাচিউরিটির সময় ১৫ বছর। তবে এর পরেও ৫-৫ বছর পর্যন্ত বাড়াতে পারেন এই স্কিমের মেয়াদ।এই প্রকল্পে বর্তমানে সুদের হার বার্ষিক ৭.১ শতাংশ। আপনি যদি প্রতি বছর ১.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তবে ২৫ বছরে বিনিয়োগ হবে ৩৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু ২৫ বছর পর ম্যাচিউরিটি হলে মোট টাকার পরিমাণ হবে ১.০৩ কোটি টাকা।
পোস্ট অফিসের আরডিতে জমা করা যেতে পারে সর্বাধিক পরিমাণ টাকা। এর ক্ষেত্রে কোনও সীমা নির্ধারিত নেই। এমনকী যত বছর ইচ্ছে তত বছর পর্যন্তও বিনিয়োগ করতে পারবেন। যদি বছরে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা করা হয়, তবে ২৭ বছর পরে মিলবে ৯৯ লক্ষ টাকা। এছাড়াও এনএসসিতে প্রতি বছর দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করলে আপনি কর ছাড়ও পেতে পারেন। এতে ম্যাচিউরিটির সময় ৫বছর। এবং এতে বার্ষিক সুদ পাওয়া যায় ৬.৮ শতাংশ । যারা ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা রাখতে চান তাদের ক্ষেত্রেও কোনও সীমা নেই। ৫ বছরে ফিক্সড ডিপোজিটে পাবেন ৬.৭ এটিও বিরাট লাভজনক স্কিম।