চাল ডালের সঙ্গে এবার পাড়ার রেশন দোকানেও মিলতে পারে মদ বা সুরা। কারণ রেশন দোকানে মদ বিক্রির অনুমতি চেয়ে এবার কেন্দ্রীয় খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রকের প্রধান সচিব সুধাংশু পাণ্ডেকে চিঠি লিখলেন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্ববরণ বোস।
চাল ডালের সঙ্গে এবার পাড়ার রেশন দোকানেও মিলতে পারে মদ বা সুরা। কারণ রেশন দোকানে মদ বিক্রির অনুমতি চেয়ে এবার কেন্দ্রীয় খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রকের প্রধান সচিব সুধাংশু পাণ্ডেকে চিঠি লিখলেন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্ববরণ বোস। সেই চিঠিতেই রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশন রেশন দোকানে মদ বিক্রির অনুমতি চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে। গত ২০ সেপ্টেম্বর এই চিঠি লেখা হয়েছে।
এখানেই শেষ নয় রেশন ডিলারদের দাবি বিবেচনা করার জন্য অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্ববরণ বোস চিঠির একটি প্রতিলিপি পাঠিয়েছিল দেশের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে। এছাড়াও চিঠি পাঠান হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থসচিব, কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব, কেন্দ্রীয় ভোক্তা সুরক্ষা ও খাদ্যমন্ত্রী এবং খাদ্য প্রতিমন্ত্রীকে। একই সঙ্গে চিঠি দেওয়া হয়েছে কমিশনারদের ও সমস্ত রাজ্য সরকার এবং খাদ্য সচিবদের।
রেশন ডিলারদের দাবি দেশের রেশন দোকানগুলিকে বাঁচাতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা জরুরি। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলিকেও এগিয়ে আসতে হবে। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রেশন ডিলাররা লাইসেন্স যুক্ত মদ বিক্রির দাবি জানিয়েছে।
অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস ডিলার্স ফেডারেশনের প্রধান পুষ্পরাজ দেশমুখ বলেছেব, সরকার কর্তৃপ অনুমোদিত রেশন দোকানের সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৬৮। প্রায় আড়াই কোটি মানুষ এই দোকানগুলির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। পাঁচ লক্ষ মানুষ পরোক্ষভাবে এই রেশন দোকান থেকেই কর্মসংস্থানের পথ খোঁজেন। ডিলারদের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে রেশন দোকান চলছে তাতে ডিলারদের তেমন লাভ হচ্ছে না। আর সেক্ষেত্রে রেশন দোকানগুলি বাঁচিয়ে রাখতে বিকল্প পথ খোঁজার প্রয়োজন রয়েছে। তাই তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে লাইসেন্স যুক্ত মদ বিক্রির অনুমতি চেয়েছেন। তাঁর মতে শুধু মদ বিক্রি নয়, রেশন দোকান থেকে পাঁচ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারও বিক্রি করা যেতে পারে সরকারি অনুমোদন পাওয়া গেলে। তিনি আরও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলি এই বিষয়ে প্রকৃত পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।
অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্ববরণ বসু বলেন, প্রতিটি রেশন দোকানে দুই থেকে চারজন কর্মচারী থাকে। মালিক-কর্মচারী পরিবারে আরও ৩-৪ জন সদস্য রয়েছে। অনুমান করা হয় যে পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য রেশন দোকানের উপর নির্ভরশীল। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উচিত রেশনের দোকান খোলা রাখা। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছি রেশনের দোকান বাঁচাতে এবং মালিক-শ্রমিকদের বাঁচিয়ে রাখতে এই সহজ পথ অনুসরণ করতে।
রাশিয়ার স্কুলে বন্দুকবাজের হামলা, নিহত ৩ শিশু-সহ ১৩ জন
অশোক বনাম শচীন বিবাদে নতুন করে উত্তাল রাজস্থানের রাজনীতি, থমকে যেতে পারে পাইলটের উড়ান
SSC Scam: চাকরিপ্রার্থীদের নম্বরে কারচুপির মাস্টারমাইন্ড সুবীরেশ, আদালতে পেশ করে দাবি CBI-এর