আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে এই সপ্তাহের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা কয়েক জন মহাকাশচারীর৷ কিন্তু তাঁদের ক্যাপসুলে শৌচাগার ভেঙে গিয়েছে৷ ফলে মহাকাশচারীদের সময় কাটছে ডায়াপার পরেই
অবশেষে ডাইপার পরে ফিরতে হল মহাকাশচারীদের! কি এমন হয়েছিল যে নাসার মহাকাশচারীদের এমন ভোগান্তি হল! আসেলে নাসার মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফেরার পথে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। ভেঙে যায় টয়লেট। আর ঠিক সেই কারনেই কোনও উপায় না দেখে অগত্যা ডায়পার পরতে হয় তাঁদের। আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (International Space Station) থেকে এই সপ্তাহের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা কয়েক জন মহাকাশচারীর৷ কিন্তু তাঁদের ক্যাপসুলে শৌচাগার ভেঙে গিয়েছে৷ ফলে মহাকাশচারীদের সময় কাটছে ডায়াপার পরেই (Astronauts stuck using diaper)৷ তবে নাসা-র (NASA) মহাকাশচারী মেগান ম্যাকআর্থার(Megan McArthur)। পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব বলেই জানিয়েছেন৷ তাঁর মতে, মহাকাশযাত্রা সব সময়েই ছোটখাটো চ্যালেঞ্জে ভরপুর৷ এটাও সেই চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি৷ তাই এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন না৷ ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় তাঁরা কাটিয়ে ফেলেছন ডায়াপার পরেই৷
মেগান ছাড়াও এই অভিযানে সামিল জাপানের আকিহিতো হোশিদে, নাসার শেন কিমব্রো এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির থমাস পেস্ক৷ সংবাদমাধ্যমকে পেস্ক জানিয়েছেন, স্পেস স্টেশনের পাওয়ার গ্রিড মেরামত-সহ একাধিক কাজের জন্য তাঁরা স্পেসওয়াক করেছেন৷ কাজের মধ্যে ছিল টয়লেট(Toilet0 মেরামতির পর্বও৷ কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি৷ অগত্যা ডায়াপার পরা ছাড়া অন্য উপায় ছিল না৷
Reliance Deny Report-মুম্বইতেই থাকবে আম্বানি পরিবার,লন্ডন যাওয়ার খবর ভুঁয়ো, জানাল রিলায়েন্স
স্পেস এক্স (Space X)-এর ক্যাপসুলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে তাঁরা পৌঁছেছিলেন গত ২৮ এপ্রিল (28th April)৷ খাবার দাবারের দিকেও রয়েছে চমক৷ এই প্রথম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে লঙ্কার ফলন হয়েছে মহাকাশচারীদের হাতে৷ গত ২৯ অক্টোবর (29th Oct) ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (International Space Station) ট্যুইটারে ছবি শেয়ার করেছিল মহাকাশে চাষ করা লঙ্কা সহ ট্যাকোর ছবি৷ মহাকাশবিজ্ঞানীদের গবেষণার মধ্যে একটি অংশই ছিল এই চাষ৷ গবেষণা পর্বের পোশাকি নাম ছিল ‘প্ল্যান্ট হ্যাবিট্যাট-০৪’(Plant Habitat-04)৷
মহাকাশবিজ্ঞানী মেগান ম্যাকআর্থারের ট্যাকো-সহ ছবি দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন নেটিজেনরা৷ অনেকেই জানতে চান, কীভাবে এই অসাধ্য সাধন হল৷ অনেকেরই প্রশ্ন ছিল, মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে কী করে ট্যাকোর মধ্যেই অবস্থান করছিল মহাকাশে চাষ করা লঙ্কাগুলি৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন জানতে চান, কী করে মহাকাশচারীরা লঙ্কা কুচি করলেন? ছোট ছোট টুকরোগুলি চারদিকে শূন্যে ভাসতে শুরু করেনি? অনেকে আবার তাঁদের দূরবর্তী কল্পনা দিয়ে জানতে চেয়েছেন, মহাশূন্যে তৈরি ট্যাকো ভবিষ্যতে কি চড়া দামে বিক্রি হবে? বিজ্ঞানীদের এই সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে কোনও নেটিজেনরা কটাক্ষ করে বলেছেন, মহাকাশে এ বার পোলট্রি ফার্মও খোলা হোক৷