আজ ফের বাড়ল পেট্রোলের দাম। কলকাতায় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে পেট্রোলের দাম। আজ লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ৩৯ পয়সা বেড়েছে। এর ফলে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি ৯৯ টাকা ৮৪ পয়সা। তবে আজ ডিজেলের দাম বাড়েনি। গতকাল দাম বাড়ার পর ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছিল ৯২ টাকা ২৭ পয়সা। আজও ওই দরেই মিলছে ডিজেল।
তবে কলকাতা এখনও সেঞ্চুরি করতে না পারলেও ইতিমধ্যেই সেঞ্চুরি করে ফেলেছে রাজ্যের একাধিক জেলা। কয়েকদিন আগেই দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, পুরুলিয়া, নদীয়ায় ১০০ ছুঁয়েছে পেট্রোলের দাম।
কলকাতার পাশাপাশি সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে দিল্লিতে পেট্রোলের দাম। আজ সেখানে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯ টাকা ৮৬ পয়সা। আর ডিজেলের দাম ৮৯ টাকা ৩৬ পয়সা।
আরও পড়ুন- সিনেমাটোগ্রাফ আইন, কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলচ্চিত্র নির্মাতা আর শিল্পীদের
ইতিমধ্যেই চেন্নাই, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ ও পুনেতে পেট্রোলের দাম ১০০ পার করেছে। মুম্বইয়ে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫ টাকা ৯২ পয়সা। আর ডিজেলের দাম ৯৬ টাকা ৯১ পয়সা।
চেন্নাইতে আজ লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকা ৭৮ পয়সা। ডিজেলের দাম ৯৩ টাকা ৯৪ পয়সা।
এছাড়া আগেই পেট্রোলের দাম ১০০ পার করেছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, কর্নাটক, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, কেরালা, বিহার, পঞ্জাবে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশের আর্থিক অবস্থা বেহাল। এই পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। আর তার মধ্যে দু-একদিন অন্তর তেলের দাম বাড়তে থাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। খুচরো বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দামও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত পড়েছে। জ্বালানির দাম বাড়তে থাকায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বাম-কংগ্রেস। বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছেন, 'কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষের সমস্যার কথা না ভেবে উৎপাদন শুল্ক, সেস এবং সারচার্জ থেকে রাজস্ব বাড়াচ্ছে কেন্দ্র।' তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য গতকাল টুইটারে সরব হয়েছিল তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যর্থতার জন্যই এভাবে দাম বাড়ছে বলে দাবি করেছে তারা। যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, সরকার ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবা চালু করুক তাহলে সাধারণ মানুষের উপর থেকে বোঝা কিছুটা কমবে।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছিলেন, "মানছি জ্বালানির দামবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু একবছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে করোনার টিকার জন্য। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য আমরা অর্থ সঞ্চয় করছি।"