প্রায় ৬ মাস পিছয়ে গেল টোকোনাইজেশন সিস্টেম। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানান হয়েছে ডিসেম্বর ৩১ পর্যন্ত অনলাইন লেনদেনের নিয়মে যে ডেডলাইন ছিল তা বাড়িয়ে ২০২২ সালের ৩০ পর্যন্ত করা হল।
ক্রেডিড ও ডেভিড কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইন লেনদেনকে আরও সুরক্ষিত করতে দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া টোকেনাইজেশন সিস্টেম আনার পরিকল্পনা করেছিল। এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে কোনও অনলাইন শপিং সাইট বা অন্য কোনও অনলাইন লেনদেন পোর্টালে গ্রাহকের ব্যাঙ্কের ডিটেলইলস আর দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। নতুন বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই নিয়ম লাঘু করার প্রস্তাব এনেছিল। কিন্তু নতুন বছরের এই নির্দিষ্ট দিন থেকে এই নিয়ম কার্যকর করা সম্ভব হল না। প্রায় ৬ মাস পিছয়ে গেল টোকোনাইজেশন সিস্টেম। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানান হয়েছে ডিসেম্বর ৩১ পর্যন্ত অনলাইন লেনদেনের নিয়মে যে ডেডলাইন ছিল তা বাড়িয়ে ২০২২ সালের ৩০ পর্যন্ত করা হল। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশনের তরফেও টোকেনাইজেশন সিস্টেম চালু করার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করার আবেদন জনিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়াকে।
টোকেনাইজেশন সিস্টেমে অনলাইন পেমেন্ট আরও সুরক্ষিত থাকবে সেটি জানার পরও কেন এই নিয়ম পিছনোর জন্য বিভিন্ন ব্যাঙ্কের তরফে আবেদন করা হচ্ছে, সেটা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অনেকের মনে জাগছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, যে কোনও নতুন জিনিস চলু হলে সেটির সঙ্গে অভ্যস্ত হতে বেশ কিছুটা সময় লাগে, শুধু তাই নয়, নতুন নিয়ম লাঘু হলে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণেরও প্রয়োজন হয়, যা এই মুহুর্তে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের কাছে নেই। আসলে বিভিন্ন সংস্থাকর স্টেক হোল্ডাররাই টোকেনাইজেশন সিস্টেম চালু করার জন্য আরও কিছুটা সময় চাইছেন। পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকার জন্যই এই নতুন পদ্ধতি এখুনি চালু করা সম্ভব নয়। শুধু স্টেক হোল্ডার বা ছোট ও মাঝারি সাইজের ব্যবসায়ীরাই নয়, ব্যাঙ্কগুলোও এই টোকেনাইজেশন সিস্টেমের সঙ্গে এখুনি পথ চলতে পুরোপুরি তৈরি নয়।
বলা বাহুল্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যে নির্দেশ তাতে গ্রাহকরা কার্ড প্রদানকারী সংস্থা বা ব্যাঙ্কের কাছে টোকেনের জন্য অনলাইনে অনুরোধ পাঠাতে পারবেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানান হয়েছ, কেনাকাটার সময়ে থার্ড পার্টি অ্যাপকে গ্রাহকরা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার বদলে শুধু একটি বিকল্প কোড দেবেন। এই কোডটাই হল টোকেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকেই গ্রাহকদের সেই টোকেন দেওয়া হবে। প্রতিটি কার্ডের বিকল্প হিসেবে আলাদা আলাদা টোকেন হবে, যা দিয়ে কেনাকাটা করা যাবে কিন্তু বিক্রেতা সংস্থা কার্ডের কোনও তথ্য পাবে না বা সংরক্ষণ করতে পারবে না।