সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ভারতে কাজের বাজার ভাল হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।
কাজের বাজারে গতি এসেছে। নতুন একটি সমীক্ষায় তেমনি ছবি ধরা পড়েছে। সমীক্ষাটি করেছে কর্মসংস্থানের একটি ওয়েবসাইট নকরিডটকম বা nauki.com naukri job spark নামে সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ভারতে কাজের বাজার ভাল হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। গতবছর যেখানে কর্মসংস্থারের হাত ২০৪৭ ছিল সেখানে এই বছর মে মাস পর্যন্ত এই হার ৪০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৮৬৩।
পর্যটন, রিটেল, রিয়েল এস্টেট, ইন্স্যুরেন্স থেকে শুরু করে সর্বত্রই কাজের বাজার ভালো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়। সমীক্ষায় বলা হয়েছে সবথেকে ভালো গ্রোথ হয়েছে পর্যনট ও হোটেল শিল্পে। কাজের চাহিদা বেড়েছে ৩৫৭ শতাংশ। তারপরই রয়েছে রিটেল সংস্থাগুলি।সেখানে কাজের চাহিদা বেড়েছে ১৭৫ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রিয়েল এস্টেট। তারপর রয়এছে ইন্স্যুরেন্স। বেশ কিছুটা পিছেয়ে রয়েছে রয়েছে অটোমোবাইল সংস্থা । তবে শিক্ষাক্ষেত্রে কাজের চাহিদা বেড়েছে ৮৬ শতাংশ। তবে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কাজের বাজার খুব একটা ভালো নয় বলেও জানান হয়েছে সমীক্ষা রিপোর্ট।
কাজের বাজার সবথেকে ভালো হয়েছে দিল্লিতে। দ্বিতীয় স্থানে মুম্বই, আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। চেন্নাই, হায়দরাবাদ আর পুনের থেকে পিছিয়ে পড়েছে বেঙ্গালুরু। জয়পুর, কোয়েমবাট্টুর কোচির মত শহরগুলিতে কাজের বাজার খুলছে বলেও জানান হয়েছে সমীক্ষা রিপোর্টে।
নকরি জব স্পিক হল একটি মাসিক সূচক যা নিয়োগের কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে সমীক্ষা করে। নকরি ডট কম নামের সংস্থাটি ভারতের সঙ্গে বিদেশের বাজারে কোথায় কী চাকরি রয়েছে তা পরীক্ষার্থীদের জানায়। পাশাপাশি তাদের চাকরির যোগাযোগ করিয়ে দেয়। সংস্থাটি বিশ্বের একনম্বর সংস্থা বলেও দাবি করে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘ লকডাউন হয়েছিল ভারতে। সেই সময় কাজের বাজার যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাতেই নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়তে থাকে। যা আগামী দিনে আরও বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে। যাইহোক কাজের বাজারে গতি ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজনীয় ছিল। কারণ ভারতীয় অর্থনীতেই রীতিমত ধাক্কা দিয়েছে মহামারী। কাজের বাজার গতি পেলে দেশের অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।