Artificial Intelligence: আর মাত্র ২০ বছর, তারপরেই সব চাকরি খেয়ে নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

Published : Jul 13, 2025, 07:20 PM ISTUpdated : Jul 13, 2025, 07:29 PM IST
AI implants

সংক্ষিপ্ত

Danger of AI: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে চাকরি হারানোর আশঙ্কা নতুন কিছু নয়। বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব চাকরি হারাতে হবে। তবে এরপরেও তিনটি ক্ষেত্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কবল থেকে রেহাই পাবে।

Artificial Intelligence: বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) দ্রুত উন্নতি একদিকে যেমন প্রযুক্তির অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করছে, অন্যদিকে তা আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের উপর ফেলছে গভীর প্রভাব। বহু বিশেষজ্ঞই বলছেন, AI ভবিষ্যতে মানুষের একাধিক কাজ করে দেবে, ফলে ২০৪৫ সালের মধ্যেই মানুষের প্রায় সব কাজই কেড়ে নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। AI গবেষক অ্যাডাম ডর ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর সঙ্গে কথা বলার সময় জানান, আগামী ২০ বছরের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সব চাকরি হারাতে হতে পারে মানুষকে। তবে এরপরও তিনটি কাজ AI-এর গ্রাস থেকে বেঁচে যাবে। কেননা সেই কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোনও ভূমিকা এখনও পর্যন্ত নেই। এগুলি হল রাজনীতি, দেহব্যবসা এবং নীতি নির্ধারণ। বাকি সব পেশার মানুষই চাকরি হারাতে পারেন। একদিকে যখন জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে, তখন নতুন করে কোটি কোটি মানুষের কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা বিশ্বজুড়ে চরম অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।

AI -এর যুগেও কোন পেশা টিকবে?

রাজনীতি

মানুষের ও সমাজের প্রয়োজন, আবেগ ও মন বোঝা, কৌশলী সিদ্ধান্ত ও সমঝোতা, বাস্তবতার সঙ্গে নেতৃত্ব ও নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। মানবিক আলোচনার সমালোচনায় অংশগ্রহণ এখনও যন্ত্রের পক্ষে সম্ভব নয়।

দেহব্যবসা

এই পেশাটি সামাজিক, মানসিক ও শারীরিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে জড়িত সংবেদনশীল ও ভীষণই ব্যক্তিগত বিষয়, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

নীতি নির্ধারণ

নীতিনির্ধারকরা রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট বহুস্তর বিশ্লেষণ-বিবেচনা এবং ভবিষ্যৎদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি রেখে কাজ করে থাকেন। যেখানে মানবিকতা, মূল্যবোধ এবং বাস্তবতার ভারসাম্য রাখতে হয়। সেই দিক থেকে এখনও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায় পুরোপুরি দক্ষ নয়।

AI নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ

‘এআই-এর ঠাকুর্দা’ হিসেবে পরিচিত জিওফ্রে হিন্টন এ বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, ওপেন এআই সিইও স্যাম অল্টম্যান কিংবা মেটার প্রধান এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন অবশ্য জানিয়েছেন, এআই-এর জন্য চাকরির কাঠামোতে বদল হবে। হয় তা চাকরি খাবে, না হয় চাকরির নতুন ক্ষেত্রের উদ্ভাবনও করবে, যা চিরাচরিত চাকরির কাঠামোর সঙ্গে মিলবে না। তবে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) কিছুটা আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বলছেন, বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির প্রয়োজন যেমন রয়েছে তেমনই চাকরির ক্ষেত্রেও যাতে খুব বিশেষ প্রভাব না পড়ে তা দেখা উচিত এবং তিনি দেখবেনও।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

DRDO-তে কর্মী নিয়োগ, শূন্যপদ প্রায় ১০০০ টি, শুরুতেই বেতন প্রায় ৩৬ হাজার, জেনে নিন কারা আবেদনযোগ্য
Education News: চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে ডঃ ভি. কে. রাইকে নিয়োগ করল আইআইএম কলকাতা ইনোভেশন পার্ক