২০২৬ সাল থেকে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা বছরে দু'বার নেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। এর ফলে ছাত্রদের মানসিক চাপ কমবে এবং পরীক্ষার জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাবে।
দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা ছাত্রদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষাই তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষার ভিত্তি স্থাপন করে।
210
দশম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীরা প্রায়শই ভয় ও উদ্বেগ নিয়ে পরীক্ষায় বসে। এই পরিস্থিতিতে ২০২৬ সাল থেকে বছরে দু'বার সিবিএসই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
310
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক সিবিএসই-এর সাথে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে। ২০২৬ সাল থেকে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা বছরে দু'বার নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
410
এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো ছাত্রদের পরীক্ষার চাপ কমানো এবং পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া।
510
বর্তমানে সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হয়। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম পরীক্ষা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এবং দ্বিতীয় পরীক্ষা মার্চ-এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে। জুন মাসে সম্পূরক/উন্নতি পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।
610
ছাত্রদের মানসিক চাপ কমবে, একটি পরীক্ষার উপর নির্ভর করার পরিবর্তে দু'বার সুযোগ পাবে। প্রথম পরীক্ষায় ভালো ফলাফল না পেলে দ্বিতীয় পরীক্ষায় উন্নতি করার সুযোগ থাকবে। এছাড়াও, ছাত্রদের মধ্যে পরীক্ষায় ফেল করার ভয় কমবে এবং সম্পূরক পরীক্ষার সাথে বোর্ড পরীক্ষা দেওয়ার অতিরিক্ত সুযোগ থাকবে।
710
বিদেশের সাথে তাল মিলিয়ে সিবিএসই-এর নতুন বৈশ্বিক পাঠ্যক্রম
অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে, শিক্ষা মন্ত্রক সিবিএসই-কে বিদেশী স্কুলগুলির জন্য "সিবিএসই গ্লোবাল কারিকুলাম" চালু করার নির্দেশ দিয়েছে।
810
এই নতুন পাঠ্যক্রম ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর হবে। এর ফলে ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
910
ছাত্রদের উপর চাপ কমাতে কেন্দ্রীয় সরকার এই নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চলেছে। বিদেশে অনেক সিবিএসই স্কুল রয়েছে, তাদের জন্যও একটি ভালো ও মানসম্পন্ন পাঠ্যক্রম প্রয়োজন।
1010
সিবিএসই শীঘ্রই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, এই পরিকল্পনাটি শীঘ্রই জনগণের মতামতের জন্য উপস্থাপন করা হবে এবং তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।