কীভাবে এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে স্কুল। মিশনে বোর্ড-জয়েন্ট-নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নেয় পড়ুয়ারা? সাফল্যের মন্ত্র শেয়ার করলেন এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দজি।
বছরের পর বছর চোখ ধাঁধানো রেজাল্ট। সাফল্য আর নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। কীভাবে এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে স্কুল। মিশনে বোর্ড-জয়েন্ট-নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নেয় পড়ুয়ারা? সাফল্যের মন্ত্র শেয়ার করলেন এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দজি।
এই শিক্ষাপীঠে কোন মন্ত্রবলে সবাই পড়াশোনা করে? বাংলার বাকি ছেলেমেয়েরাও তা জানুক। অনুপ্রাণিত হোক। বিশেষ করে এবার যারা বিজ্ঞান নিয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হল, যারা জয়েন্ট এন্ট্রান্স ও নিট পরীক্ষায় বসবে তারা কী করে টাইম ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি বোর্ড ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রিপারেশন নেবে? তিনি জানান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য জয়েন্ট, নিট, জেইই মেন বা জেইই অ্যাডভান্সের সিলেবাসের সঙ্গে বিভিন্ন বোর্ডের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসের খুব বেশি পার্থক্য নেই। পার্থক্য আছে প্রশ্নপত্রের ধরনে। জয়েন্ট, নিট পরীক্ষায় সব এমসিকিউ প্রশ্ন। কাউন্সিলের পরীক্ষায় এমসিকিউ, এসএকিউ, ডিকিউ থাকে। তাই সবাইকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রতিটি বিষয়ের প্রতিটি চ্যাপ্টার পড়তে হবে।
স্বামী ইষ্টেশানন্দজি আরও জানান দ্বাদশের সিলেবাস অনেক আগে শেষ করে রিভিশন ও জয়েন্টের প্রস্তুতি নিলেই বাড়তি সুবিধা হবে, এমন মনে করি না। অবশ্যই কনসেপ্ট ক্লিয়ারের ক্ষেত্রে একটু সুবিধা মেলে। তবে আমাদের সিলেবাস যে সময়ের মধ্যে শেষ করতে বলে হয়েছে তা ফলো করলেই যথেষ্ট।
তিনি বলেন রোজ শুধু নিজে পড়ার জন্য ছঘণ্টা সময় বের করো। তার বাইরে স্কুল-কোচিংয়ে গিয়ে পড়া থাকবে। কোন বিষয়ের জন্য কখন কতটা সময় দেবে তা নিজেকেই ঠিক করতে হবে। ছোট ছোট করে প্ল্যানিং করো। প্রথমে এক সপ্তাহের রুটিন বানাও। তারপর দেখো, ওই রুটিন মেনে কতটা পড়া সম্পূর্ণ হল। জীবনে এই দুটো বছর নিজেকে শৃঙ্খলায় বেঁধে রাখতে হবে। দিনে এতক্ষণ বোর্ডের পড়া পড়বে বা এতক্ষণ নিট-জয়েন্টের জন্য পড়বে-তা কিন্তু হয় না। সময় ভাগ করে এভাবে পড়া যায় না। বোর্ড পরীক্ষার আগে শুধু বোর্ডের সিলেবাস পড়ো, পুরনো প্রশ্ন সলভ করো।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।