তাপস দাস, প্রতিনিধি, হেলে ধরতে পারে না, কেউটে ধরতে গেছে। বাংলার রাজনীতি জগতে এ মন্তব্য প্রায় অমর হয়ে রয়েছে।
জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে দলের মধ্যে যিনি সরব হয়েছিলেন, তিনি আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার নির্বাচিত বিধায়ক। সেই ১৯৭৭ সাল থেকে এ বিধানসভা সিপিএমের হাতছাড়া হয়নি কখনও। সেই ১৯৭৭ সাল থেকে এ বিধানসভার ভোটাররা কখনও খালি হাতে ফেরাননি আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাকে। রেজ্জাক ছিলেন বামফ্রন্ট সরকারের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব মন্ত্রী।
ক্যানিং পূর্ব বিধানসভায় ২০১১ সালেও সিপিএমের আসন ধরে রাখা রেজ্জাক মোল্লাকে ২০১৪ সালে দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য বহিষ্কার করে সিপিএম। এর পর তিনি নতুন দল গঠন করেন, সে দল থেকেও বহিষ্কৃত হন। ২০১৬ সালে তিনি যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
২০১৬ সালে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা আসনে জেতে তৃণমূল কংগ্রেস। জিতেছিলেন সওকত মোল্লা।
২০২১ সালের ভোটেও এই আসনের প্রার্থী সেই সওকত মোল্লাই। সংযুক্ত মোর্চার তরফে এই কেন্দ্রে এবার প্রার্থী হয়েছেন গাজী সাহাবুদ্দিন সিরাজী। তিনি আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের তরফ থেকে লড়ছেন। বিজেপির হয়ে লড়ছেন কালীপদ নস্কর।
২০১১ সালের ভোটে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা আসনে রেজ্জাক মোল্লা ২৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন কংগ্রেসের ইব্রাহিম মোল্লাকে। সেবার বিজেপির প্রার্থী পেয়েছিলেন সাড়ে তিনহাজার ভোট।
২০১৬ সালের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের সওকত মোল্লা ব্যাপক জয়লাভ করেন। তিনি সিপিএমের আজিজুর রহমান মোল্লাকে হারান ৫৫ হাজারেরও বেশি ভোটে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল বিজেপির ভোটবৃদ্ধি। যে বিজেপি ১১ সালের ভোটে সাড়ে তিন হাজার ভোট পেয়েছিল, তাদেরই প্রার্থী সুদর্শন গোস্বামী ২০১৬ সালে পেয়েছিলেন ১২২৯৩ ভোট।
ক্যানিং পশ্চিমে কংগ্রেসের পরিচিত মুখ বিজেপিতে, কতটা পাল্টাবে ভোটের অঙ্ক ...
করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে প্রধানমন্ত্রীর পাঁচটি দাওয়াই, দেখে নিন কী কী বললেন মোদী ...
ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা জয়নগর লোকসভার অন্তর্গত। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জয়নগরে জেতে তৃণমূল। প্রায় ৩২ হাজার ভোটে প্রতিমা মণ্ডল হারান, বিজেপি প্রার্থী অশোক কাণ্ডারীকে। অর্থাৎ এই লোকসভা এলাকায় বিজেপি দু নম্বর শক্তি হিসেবে উঠে এসেছিল দু বছর আগেই। তবে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকায় কিন্তু বিজেপি প্রার্থী অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী দফতরের হিসেব অনুসারে এই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের লিড ছিল ১ লক্ষ ৪৩ হাজারেরও বেশি।
ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে তৃতীয় দফায়, ৬ এপ্রিল।