প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভা থেকেই গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। মঞ্চ থেকে নিজেকে কোবরা হুংকার ছেড়ে বলেছিলেন এক ছোবলেই ছবি। সেনিয়ে বাংলা কেন গোটা দেশেই প্রবল আলোচনা শুরু হয়েছে। কিন্তু সেবসব কিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মহাগুরু বিজেপির হয়ে রাজ্যে ভোট প্রচার শুরু করতে চলেছেন। বিজেপি সূত্রের খবর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করেবেন মহাগুরু। সেখানে মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী একদা তাঁর সহযোগী শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম কেন্দ্র ও সেখানকার ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীকে রীতিমত গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। সূত্রের খবর তাঁর হয়ে প্রচার করতে আসতে পারেন বিজেপির প্রথম সারির নেতৃত্ব।
আগামী ১২ মার্চ নন্দীগ্রাম আসনের জন্য মনোনয়ন দাখিল করবেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই সময় তাঁর পাশে থাকতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধানের মত ব্যক্তিত্ব। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় শুভেন্দুর পাশে থাকতে পারেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও। সূত্রের খবর হলদিয়া প্রশাসনিক ভবনে শুভেন্দু মনোনয়ন দাখিল কর্মসূচিতেও অংশ নিতে পারেন মিঠুন। মনোনয়ন দাখিলের পর শুভেন্দুর সঙ্গেই তিনি যাবেন নন্দীগ্রামে। সেখানে রাজনৈতিক প্রচারেও প্রথম সারিতে থাকছেন মিঠুন। যদিও মিঠুনের প্রচার সূচি নিয়ে এখনও রাজ্য বিজেপি কিছুই জানায়নি। রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় পয়লা এপ্রিল ভোট গ্রহণ হবে নন্দীগ্রামে। কাল মনোনয়ন জমা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল কংগ্রেসতো বটেই বিজেপি-র কাছেও নন্দীগ্রাম বর্তমানে রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র। সূত্রের খবর নন্দীগ্রাম কেন্দ্র নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিজেপি। সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের হাত ধরেই ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তৃণমূল সুপ্রিমোর ডান হাত হিসেবেই কাজ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু দলবদল করে বর্তমানে তিনি গেরুয়া শিবিরের সদস্য। আর নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে রাজ্যে যুযুধান দুই রাজনৈতিক দলের কাছে নন্দীগ্রাম আসনটি সম্মানের লড়াই। বঙ্গ দখলকে বিজেপি পাখির চোখ করেছে বিজেপি। আর তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দরে ধারে রাখতে মরিয়া তৃণমূল। আর সব মিলিয়ে নন্দীগ্রামের লড়াই ক্রমশই জমে উঠেছে।