তৃণমূলে জেলার শীর্ষ স্তরেও প্রকাশ্যে এল গোষ্ঠী কোন্দল। তাঁর পছন্দমতো ব্লক ও জেলা কমিটির সদস্যরা না থাকায় দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক। শুধু তাই নয়, চিঠি লিখে তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল নেত্রী চাইলে তিনি বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন।
আরও পড়ুন-হাথরস ধর্ষণ-কাণ্ডের প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন মমতা, বাংলা জুড়ে আন্দোলনে তৃণমূল
একুশেকর বিধানসভা নির্বাচনের আগে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্বে। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। কয়েক মাস আগে কোচবিহার তৃণমূল নেতৃত্বে রদবদল নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছিল। তাঁর পছন্দ মতো সদস্যরা ব্লক কমিটিতে না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কোচবিহার এক নম্বর ব্লকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে দলকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, চিঠি এও লিখেছেন দলনেত্রী চাইলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দিতেও তিনি প্রস্তুত।
আরও পড়ুন-রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন, দেখুন কাঁথি শহরের জলছবি
সূত্রের খবর, তাঁর পাঠানো তালিকার মধ্য়ে তৃণমূলের ব্লক কমিটির পদে কেউ দায়িত্ব পাননি। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। সেসময়, পিকে-র সদস্যরা তাঁর বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। হাতজোড় করে প্রত্যাখ্যান করে নেন এবং নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। চিঠিতে বিধায়ক মিহির গোস্বামী লিখেছেন, এক সময় তিনি তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। এই দল থেকে এখন তাঁর কিছু পাওয়ার নেই। দলীয় অনুশাসন ক্রমেই তলানিতে ঠেকেছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক।