এবার তৃণমূলে ঘর ভাঙার পালা শুরু। দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে ইস্তফা উত্তরবঙ্গের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তৃণমূলের সব সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী।
এবার তৃণমূলে ঘর ভাঙার পালা শুরু। দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে ইস্তফা উত্তরবঙ্গের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তৃণমূলের সব সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী।
দলের একাধিক সাংগঠনিক পদে ছিলেন তিনি। তৃণমূলের ব্লক কমিটি ও জেলা কমিটি নিয়েও বহু অস্বস্তিকর মন্তব্য করেছেন বিধায়ক। দলে ছাড়ার আগে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতিও বিষদগার করেছেন বিধায়ক। মিহির গোস্বামী বলেছেন,দলনেত্রী চাইলে বিধায়ক পদ থেকেও সরে দাঁড়াবেন তিনি।
রাজ্য়ের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্য়েই অন্য দলে থেকে বহু নেতা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে খোদ তৃণমূলের বিধায়কের এহেন মন্তব্যে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি নতুন ব্লক ও জেলা কমিটি ঘোষণা করে শাসক দল। যা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্য়ে চলে এসেছে। ব্লক ও জেলা কমিটি ঘোষণার পর থেকেই কোচবিহার জেলার বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় বিক্ষোভ। দলের এই পরিস্থিতির জন্য় শীর্ষ নেতৃত্বের দিকেই আঙুল তুলেছেন মিহিরবাবু। তিনি যে অখুশি তা আগেভাগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন।
তৃণমূলের এই নেতা বলেন, গত ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম অপমান সহ্য করতে হয়নি। এরপর আর তার পক্ষে অপমান সহ্য করা সম্ভব নয়। রাজ্য় রাজনীতির ইতিহাস বলছে, আগে যাঁরা দলের ক্ষতি করেছেন, দল তাঁদেরই পুরস্কৃত করে ব্লক ও জেলা কমিটিতে জায়গা দিয়েছে। সে কারণেই তিনি সাংগঠনিক সব পদ থেকে সরে এসেছেন।