আদালতে রামদেব বনাম অ্যাসলোপ্যাথি ডাক্তার
রামদেবের মুখে লাগাম লাগানোর জন্য মামলা করা হয়েছিল
সেই আবেদন মানল না আদালত
ডাক্তারদের ধমকে, কী বললেন বিচারক
দিল্লি হাইকোর্টে যোগগুরু রামদেবের বিরুদ্ধে দিল্লি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (DMA) মামলা। চলল উত্তপ্ত সওয়াল-জবাব। সবশেষে যোগগুরুকে সমন জারি করল আদালত। তবে অ্যালোপ্যাথি ডাক্তারদের দাবি মেনে নেয়নি আদালত। বরং, ধমকের সুরেই বিচারক চিকিৎসকদের রামদেবের পিছনে পড়ে না থেকে ভাইরাসের প্রতিকারের সন্ধান করার পরামর্শ দেন।
দিল্লি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রামদেবের বিরুদ্ধে, মিথ্যা ভাবে পতঞ্জলির করোনিল কিট'কে কোভিড-১৯'এর নিরাময় হিসাবে প্রচার করার অভিযোগ করা হয়েছিল। ডিএমএ চেয়েছিল রামদেবকে পতঞ্জলির করোনিল ট্যাবলেট সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা থেকে বিরত রাখা হোক।
কিন্তু, তাদের আবেদন মানেনি আদালত। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সি হরি শঙ্কর বলেন, বাবা রামদেবকে মন্তব্য করা থেকে বিরত করার অধিকার নেই আদালতের। কারণ সেইক্ষেত্রে তাঁর বাক স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হবে। বিচারক বলেন, 'যদি আমার মনে হয় হোমিওপ্যাথি ভুয়ো, তবে কি হোমিওপ্যাথি ডাক্তাররা আমার বিরুদ্ধে মামলা করবেন?' এরপরই তিনি ডিএমএকে রামদেবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার থেকে মারাত্মক ভাইরাসের নিরাময়ের জন্য তাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করার পরামর্শ দেন।
তবে, সহজে হাল ছাড়েননি দিল্লি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি আইনজীবী রাজীব দত্ত। তিনি বলেন, রামদেবের ভ্রান্ত দাবির কারণে বহু মানুষ করোনার টিকা নিতে চাইছেন না। এর ফলে ফলস্বরূপ টিকাকরণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। আর তার জন্য বহু মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। আদালত বলে, করোনিল ট্যাবলেটে কোনও কাজ হয় কি না, তা চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন, াদালত তা নির্ধারণ করতে পারবে না।
রামদেবের মুখে লাগাম না লাগাতে চাইলেও যোগগুরুকে এদিন একটি নোটিস পাঠিয়েছে আদালত। সেই নোটিসে রামদেবকে তার বিরুগ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ তৈরি করতে বলা হয়েছে। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপলোড করে প্রচার করতে হবে। সেইসঙ্গে কোভিড-১৯'এর কার্যকর ওষুধ হিসাবে 'করোনিল কিট'-এর বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপনটি সমস্ত প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই ব্যবস্থাগুলি না নিলে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসয়েশন তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর এবং ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে।