ঘাটতি ঢাকতেই কি কোভিশিল্ডের দুই ডোজের মধ্যে সময় বাড়ালো কেন্দ্র, কী বলছেন ডা. ফাউচি


কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুই ডোজের মধ্যে বাড়ল সময়ের ব্যবধান। তিন মাসের মধ্যে দুইবার ঘটল একই ঘটনা। এই নিয়ে কড়া সমালোচনার মুখে মোদী সরকার। মার্কিন চিকিৎসা ডা. ফাউচি এই পদক্ষেপকে সমর্থনই করলেন।

amartya lahiri | Published : May 14, 2021 9:34 AM IST / Updated: May 14 2021, 03:38 PM IST

বৃহস্পতিবার, ভারত সরকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান আরও বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করার সুপারিশ করেছে। এর আগে আরও একবার এই সময়ের ব্যবধান বাড়িয়ে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ করা হয়েছিল। তিন মাসের মধ্যে দুইবার এই সময়ের ব্যবধান বাড়ানোর পদক্ষেপ কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে। সকলেই বলছেন, এর পিছনে কোনও বিজ্ঞান নেই, সময় বাড়িয়ে সাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো ভ্যাকসিনের ঘাটতির বিষয়টি আড়াল করতে চাইছে সরকার। কিন্তু, তাঁদের সঙ্গে একমত হলেন না মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা ডাক্তার অ্যান্থনি ফাউচি, বরং তিনি মোদী সরকারের এই পদক্ষেপকে সমর্থনই করেছেন।

এর আগেই ডাক্তার ফাউচি বলেছিলেন, ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখন যে আকার ধারণ করেছে, তাতে বিপুল জনসংখ্যাকে ভ্যাকসিন দিয়ে করোনা ঠেকানোটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হতে পারে, কিন্তু, আশু সমস্যা তাতে মিটবে না। বৃহস্পতিবার শীর্ষস্থানীয় এই মার্কিন চিকিৎসক অবশ্য বলেছেন, ভারত এখন খুব কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে। এখন, যত দ্রুত সম্ভব যত বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে ভারতকে। এই অবস্থায় পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকলে কোভিশিল্ডের দুটি টিকার ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়ানোটাই 'যুক্তিসঙ্গত পন্থা' বলে মনে করছেন তিনি। এটা কোনও আড়াল করার বিষয় নয়, আর এতে করে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাও কমে যায় না।

ডা. ফাউচি এদিন আবার একবার, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কীভাবে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী বড় ভূমিকা নিতে পারে, সেই কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, এই ধরণের বিপর্যয়ের মুখে সামরিক বাহিনী এমন দ্রুত কোনও কাজ সম্পন্ন করতে পারে, যা অন্যথায় সম্ভবপর হয় না। ভারতে হাসপাতালের শয্যার ঘাটতি রয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসা সহায়তার অভাবে অনেকের প্রাণ যাচ্ছে। সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের সময় যে ফিল্ড-হসপিটাল স্থাপন করে থাকে, সেগুলি কিন্তু যে কোনও সাধারণ হাসপাতালের বিকল্প হিসাবে কাজ করতে পারে। কাজেই সেগুলি কাজে লাগাতে পারত ভারত।

Share this article
click me!